এই গ্রন্থ লেখকের সমসাময়িক চলচ্চিত্র-ভাবনা ও গবেষণাকর্মের ফল। চলচ্চিত্র-উৎপাদকের শৈল্পিক বা বাণিজ্যিক অভিপ্রকাশ এবং তার প্রতি ভোক্তা-দর্শকের সহজাত সাড়া— এ দুই ব্যাপারই লেখকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিবেচনার বিষয়। ফলে চলচ্চিত্র শৈল্পিক ও জনপ্রিয় বিভাজনের বিষয় হয়ে থাকেনি তার কাছে; বরং তা ধরা দিয়েছে একটি বৃহত্তর সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রপঞ্চ হিসেবে। চলচ্চিত্রে যেমন একই সঙ্গে প্রায় সব শিল্প-প্রকরণের সমাবেশ ঘটেছে, তেমনি নিরন্তর বিনোদনের খোরাক দিতে গিয়ে চলচ্চিত্র পুনরুৎপাদিত কিছু ভাবাদর্শের পরিবেশনা করে চলেছে। আবার চলচ্চিত্রই হয়ে উঠেছে জনসংস্কৃতি, উচ্চম্মন্য সংস্কৃতির বিপরীতে সাধারণ ক্ষমতাহীন জনতার সাংস্কৃতিক ক্ষমতায়নের অবলম্বন। আঙ্গিক হিসেবে এর যেমন দার্শনিক উচ্চতা রয়েছে, তেমনি তার আধেয় সামাজিক প্রভাব রাখতে সক্ষম। চলচ্চিত্রকে নিয়মিতভাবে অধ্যয়ন- বিশ্লেষণ-পাঠ করা তাই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। লেখক নিয়মিতভাবে তা করেও থাকেন। লেখক এই গ্রন্থে যেমন চলচ্চিত্রের পাঠসম্পর্কিত তাত্ত্বিক আলোচনা করেছেন, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র গবেষণার পর্যালোচনা হাজির করেছেন, তেমনি আমাদের নিজস্ব চলচ্চিত্র ভাষার অনুসন্ধান করেছেন। এছাড়া সমসাময়িক উল্লেখযোগ্য নয়টি চলচ্চিত্রের সমালোচনা পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে।
১৯৭১ জন্ম রাজশাহীতে। চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম বিষয়ক লেখক, গবেষক এবং ছোটগল্পকার। চলচ্চিত্র সংক্রান্ত গবেষণা ও বিশ্লেষণ লেখকের কর্মপরিধির বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে। চলচ্চিত্র বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নিয়ে কয়েকটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা যোগাযোগ-এর সম্পাদক তিনি।