এ বইয়ের শুরুতে লেখক আফগানিস্তানে যুদ্ধবিধ্বস্ত হাওয়াই জাহাজে বাস করা পথশিশুদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পাঠককে নিয়ে যান স্থানীয় মানুষজন কীভাবে পাহাড় খুঁড়ে চুনি-পান্না সংগ্রহ করে তা দেখাতে। বাদশাহ আমানুল্লার আমলের একটি ভগ্ন প্রাসাদে তিনি দেখা করিয়ে দেন। জনা কয়েক মহিলা কবির সঙ্গে—যারা কবিতার মাইফেল বসিয়েছেন কবি নাদিয়া আনজুমের ইয়াদগারিতে, কবিতায় যিনি নারীশােভন ভালােবাসার কথা প্রকাশ করার অপরাধে খুন হয়েছেন স্বামীর দৈহিক জুলুমে। সংগােপনে একটি ট্রাকের ড্রাইভিং সিটের পেছনের গুপ্তকুঠুরিতে শুয়ে তিনি রওনা হন কান্দাহারের পথে। আত্মঘাতী বােমার বিস্ফোরণ ঘটেছে স্পিন বলডাকের বাজারে, সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে তিনি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত পাতুন নারী রাহেলা কায়সারের চিঠি নিয়ে পৌছান শেখ সরখ গ্রামে। অনেক বছর আগে রাহেলা বিদেশি প্রেমিকের সঙ্গে দেশত্যাগ করে, পরিবারের সঙ্গে তার কোনাে যােগাযােগ নেই। এই নারীর পিতৃব্য পাসতুন সরদার মােনাব্বর উল্লা কায়মারের সঙ্গে মােলাকাত করার জন্য লেখকের সঙ্গে পাঠকও দারুণ উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করবেন। কাবলের ক্যারাভান সরাইয়ের পর মঈনস সুলতান আবার লিখলেন আফগানিস্তান। নিয়ে। পাঠক, এই বই আপনাকে নিয়ে। যাবে কান্দাহারের পথে।
জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি ।খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্ৰমণ করেছেন। বর্তমানে সিয়েরা লিওনে বাস করছেন।প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।