বইটির নাম দেখেই ধারণা করা যায় যে,বইটি মোটাদাগে দুভাগে বিভক্ত।প্রথম অংশ(...-১২৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত) আমরা দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষণ এবং শেষ অংশে (১২৭ পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত)মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাস কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা দেখব।যারা বেশ কয়েকবছর ধরে নিয়মিত পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আন্তজার্তিক রাজনীতি কিংবা সন্ত্রাসের হালহকিকত সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা রেখেছেন,তাদের কাছে বইটি একদম সুপরিচিত মনে হবে।কারণ,২০১৭ সালের পূর্বের আলেচিত ঘটনাবলীকে নিয়েই এই বইটি সাজিয়েছেন লেখক।দেশের প্রথম সারির বেশকিছু পত্রিকায় প্রকাশিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কলামেরও দেখা মিলবে বইটির পাতায়। বইটিতে পড়ে আমরা কি জানতে পারবো? -বাংলাদেশের বিষফোঁড়া সমতুল্য রোহিঙ্গা ইস্যুর বেশ কিছু ব্যাখ্যা... -পশ্চিমা রাজনৈতিকদের ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে আমরা যতটা সমীহ করি,পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্র ততটাই থোরাই কেয়ার করে তাদের! -অহিংসকে ধর্ম বলে মনে নেয়া বৌদ্ধদের উপর রামু সহিংসতা... -জঙ্গি আছে কি নেই? থাকলে কারা বা এদের হাত কতটাই বা বড়? কেন তারা এ পথে আসলো? কীভাবেই বা উচ্চমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে নিম্নবিত্ত,অবহেলায় বেড়ে উঠা মানুষগুলোর পরিচয় হয়? কেনই বা তারা একত্রে কাজ করতে আগ্রহী? -'গোয়েন্দা কাহিনীঃউপমহাদেশের বাস্তবতা' শিরোনামে অসাধারণ একটি অধ্যায় আছে।বিশ্বের বড় বড় গোয়েন্দাদের সম্পর্কে যেখানে আলোচনা করা হয়েছে। -সুসংগঠিত হামলায় নিজেকে পারদর্শী প্রমাণ করা আইএস সম্পর্কে জানা যাবে। -গাজায় ইসরায়েলে জন্মগ্রহণ করা প্রথম যেকোনো প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কর্তৃক হামলা।কেনই বা এই হামলা? যেখানে ইহুদিরা এরকম অমানবিক অত্যাচারের স্বীকার হয়েছিলো,সেখানে তো তাদের অন্যপথে হাটা উচিত ছিলো।তা না করে,তারাই কেন অরাজকতার পথ বেছে নিলো? -পরিচিত হবো,ফ্রান্সের পর্যটন নগরী নিসে একদম ভিন্ন কায়দায় চালানো এক সহিংসতার! কি কি তথ্যের সম্মিলন ঘটেছে বইটিতে,তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ উপরে তুলে ধরেছি।পাঠক মাত্রই বুঝতে সক্ষম হবেন,কতটুকু আলোচিত বিষয় স্থান পেয়েছে বইটিতে। সন্তাস! সন্ত্রাস!! সন্ত্রাস!!! এই শব্দটি বেশ বেশ পুরোনো।কেনই বা এমন হচ্ছে। জঙ্গি হামলা গুলো কেনই বা সংঘটিত হচ্ছে! এসম্পর্কে নিজের মনের ক্ষুধাকে কিছুটা প্রশমণ করার জন্য এই বইটি যথেষ্ট কার্যকর এবং তথ্যবহুল।
Brigedier J.M. Sakaoat Hosen Ret. ১৯৪৮ সনের ১ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দু’বছর পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৯৭৫ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৯-৮১ সনে ঢাকায় সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডাইরেক্টরেট নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। লেখক বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে দ্বিতীয়বারের মত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউ এস এ কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স এ ডি সি ইসলামাবাদ ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স এবং ২০১১ সনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, ঢাকা থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিরাপত্তা, ভূ-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী কলাম ও বইয়ের লেখক হিসেবে অধিক পরিচিত। এ পর্যন্ত তার তেইশটি বহুল পঠিত বই প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দেশী-বিদেশী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনীতি এবং নির্বাচন বিষয়ে বিশ্লেষক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৭ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে। ২০০৮ সনের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা।