“বিবিসির নির্বাচনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ২০ বাঙালি” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ ২০০৪ সালে বিবিসির বাংলা বিভাগ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচনের একটা উদ্যোগ নেয়। তার জন্যে বিবিসির বাংলা বিভাগ তাদের শ্রোতাদের মতামত চেয়েছিল । আর সে আহবানে সাড়া দিয়ে জ্ঞানী-গুণীজন থেকে শুরু করে আমজনতা পর্যন্ত তাদের মতামত বিবিসি'র বাংলা বিভাগে পাঠিয়েছিল। বিবিসি বাংলা বিভাগ ২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ মার্চ এই ৩৩ দিন পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ২০ বাঙালির একটি তালিকা প্রকাশ করে। শুধুমাত্র হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ২০ বাঙালির নয়, বিবিসি বাংলা বিভাগ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ২০ বাঙালা গানেরও একটা তালিকা প্রকাশ করে। যদিও এটা কোন সরকারি পরিসংখ্যান নয়। বিবিসির বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের পাঠানাে মতামত মাত্র। যদিও জরিপের স্বচ্ছতা নিয়ে কোন প্রশ্ন না উঠলেও এ তালিকা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তালিকায় এমন আরাে অনেক নাম আসেনি যাদের অনেকের নাম থাকা উচিৎ ছিল বলে অনেকের ধারণা। অনেকে মনে করেন তালিকাটি আরাে একটু বড় হতে পারতাে। তাহলে আরাে কয়েকজন জায়গা পেতেন। তারপরও আমি বলবাে বিবিসির এই জরিপ একটা নতুন দিগন্তের সূচনা। এই জরিপের পথ ধরে আরো জরিপ হবে। বিস্মৃতির তল থেকে উঠে আসবে আরো অজানা তথ্য, অনেক নাম । লেখক বইটিতে নির্বাচিত ২০ জনের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলােচনা করেছেন। স্বল্প পরিসরে অনেক কথাই হয়তাে বলতে পারেন নি। তাদের জীবনের গৌরবােজ্জ্বল দিকগুলােই কেবলমাত্র উঠে এসেছে। আশা করি বইটি সকলের ভালাে লাগবে। মােরশেদ আলম হৃদয়
দুই বাংলার পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ। লেখেন উপন্যাস, কিশাের উপন্যাস, শিশুতােষ বই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, কবিতা ও খেলার বই।। অনুবাদ ও সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা। অনুবাদ ও। সম্পাদনা করেছেন পৃথিবীর বিখ্যাত কবিদের কবিতা ।। বলা যায়, সাহিত্যের সব শাখায় তার রয়েছে অবাধ। বিচরণ। লিখছেন আড়াই দশক ধরে। বাংলাদেশ ও। ভারতে প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা সব মিলিয়ে। দু’শতাধিক। ১৯৮৯ সালে লেখা শুরু। ১৯৯২ সালের একুশে বইমেলায় একসাথে ৬ খানা বই প্রকাশের মধ্যে দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৫ সালে তিনি। প্রথম লেখক হিসেবে বাংলা একাডেমি বইমেলায় ‘একক বইয়ের স্টল’ করেন। যা তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ বছরই তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় “বাংলাদেশ লেখক। পরিষদ”। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন। ক্রীড়ালেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে অমরেশ বসু কলেজ সাহিত্য সম্মাননা, ২০১৪ সালে কলকাতার (পশ্চিম বাংলা, ভারতের) ইতিকথা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ও একই বছর। ক্রীড়ালেখক সমিতি আয়ােজিত ইন্টারন্যাশনাল স্পাের্টস প্রেস-ডে (এআইপিএস-ডে) সম্মাননায় ভূষিত হন। । ১৯৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার পুখরিয়া। (আলােকদিয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্ম ।। পিতা মরহুম সৈয়দ হাসান আলী, মা মরহুমা সৈয়দা। আয়েশা হাসান। ৯ ভাইবােনের সবার ছােট। ১৯৯৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী অধ্যাপক শাহানা পারভীন। লাভলী এবং দুই কন্যা আয়েশা ঋদ্ধি ও আয়েশা ঋতিকে। নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতায় লেখকের। সুখের সংসার।