"ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৮-১৯৭০ প্রথম খণ্ড )" বইটির ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সােহাগ আমার ছাত্র। তার আবেগ, অভিনিবেশ ও চিন্তার সঙ্গে আমি অনেকটাই পরিচিত। এ সংগঠনে সংলগ্ন থাকার জন্য তাকে অশেষ কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বর্তমানে সােহাগ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি। এ পদের দায়িত্ব অনেক। আমার বিশ্বাস, সোহাগ তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে সমর্থ। সাইফুর রহমান সােহাগ রচিত ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস' বইয়ে তার আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় পাওয়া যায়। বইটি পড়তে গিয়ে আমি অতীতে ফিরে গেছি। পুরােনাে অনেক স্মৃতিকে আমি খুঁজে পেয়েছি। অনেক ঘটনা আমাকে আগের মতাে উদ্দীপ্ত করেছে। আমি এ বইয়ের ব্যাপক প্রচার কামনা করি। ছাত্রলীগের বর্তমান প্রজন্মের অবশ্যই এই বইটি পড়া উচিত এবং সে অভিজ্ঞতা তাদের আত্মসচেতন ও ইতিহাস-সংলগ্ন করে তুলবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগের ইতিহাসকে বাঙালির ইতিহাস বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার সুযােগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা গৌরবােজ্জ্বল এই সংগঠনের ইতিহাসকে অভিহিত করেছেন ‘বাংলাদেশের ইতিহাস' হিসেবে। তাই অবধারিতভাবেই বলা চলে, বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে ছাত্রলীগের ইতিহাসও জানতে হবে।
Title
ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৮-১৯৭০ প্রথম খণ্ড )
সাইফুর রহমান সোহাগের জন্ম ১৯৮৬ সালের ৩১ আগস্ট মাদারীপুর শহরে। বাবা এইচ এম আবদুর রহমান একজন আদর্শ শিক্ষক। মা মর্জিনা খানম অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারী। তিনজনের মধ্যে সোহাগ বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। সাইফুর বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি সরকারী নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন ও সফলতার সাথে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে । দ্বিতীয় মাস্টার্স করছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি গ্রগতিশীল ধ্যান-ধারণার ব্যক্তিত্ব সোহাগ সবসময় ছিলেন রাজনীতি সচেতন । ২০০২-২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে, মিছিল-মিটিং-এ নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কমী ছিলেন তিনি। ১/১১-তে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সোহাগ। অতঃপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনে সারাদেশের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি লেখাপড়া ও ছাত্ররাজনীতিকে একসূত্রে বেঁধেছেন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে । ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতি ও প্রচুর অধ্যয়ন করেছেন। তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে আজ সাইফুর রহমান সোহাগ। একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছাত্রনেতা, লাখ লাখ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর অভিভাবক, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা।