"স্বামীসূত্র" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বিচ্ছেদের বেদনা আমারে ভর করে । রাত্রি এসে যখন থেমে যায় বিছানার চাদরে, কিংবা খাটের পায়ায়, তখন আমরা ছেলে না মেয়ে, কালাে নাকি সাদা ভুলে যাই। তখন বিরহ আর একাকিত্বের প্রতিনিধি হয়ে উঠি জনে জনে। জিনের আছরের মতাে—পুরুষ এই জীবন। আচ্ছাদিত করে রেখেছে। বাবা, ভাই, স্বামী, বন্ধু কিংবা প্রথম প্রেমিকের সুখের কৌটায় নিজেকে রেখে দেখেছি রঙিন জীবন। তাদের ব্যর্থতার চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে। দেখেছি—নিকষ কালাে বেদনার রং; তাদের হয়ে কেঁদেছি, জেনেছি কান্নার কোনাে ব্যাকরণ নেই। তবে সমাজ আছে, যেখানে কখনাে কখনাে পুরুষের স্বর রুদ্ধ। কল্পনার শহরে আমি তাদেরই একজন হয়েছি। কোনাে এক শরতের বিকেলে সেই শহরের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে যাবার সিদ্ধান্ত নেইজীবনের সকল পুরুষকে সেইখানে জড়াে হতে দেখে ভড়কে যাই। আমাকে পুরুষ ভেবে ওই শহর হাত বাড়ায়, রাত্রি আবার চলতে শুরু করে—কি বাের্ডে। খাটের কোনা থেকে বিরহের গানেরা মনিটরের সামনে এসে দাঁড়ায় ওদের সূত্র নিয়ে। পুরনাে প্রেম সব নিয়ে চলে গেলেও রেখে গেছে চিরকুট; শহর আমার হাতে তুলে দেয় বালিশে চাপা পড়ে থাকা স্বামীর দীর্ঘশ্বাসের অভিধান। পুরুষ মননে আমি রচনা করি আধেক চেনা। আধেক জানা এক স্বামীর গান।