“জালাল উদ্দিন রুমির অধ্যাত্মবাদ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বিশ্বে আল্লাহর প্রেমতত্ত্বের পরিচয়, শান্তি-সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও কল্যাণের প্রচার, প্রসার ও বিকাশের যে সকল সুফি কবি আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিশ্বইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁদের অন্যতম হলেন সুফিকুলের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, কবি ও সাহিত্যিক জালাল উদ্দিন রুমি। তিনি সপ্তম শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বে যখন চিন্তার স্থবিরতা, সাহিত্যে জড়তা ও ইলমে কালীমের উপর চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছিল, ইসলামের চিন্তা ওদর্শনচর্চা বাদ দিয়ে মুসলমানরা হাত-পা ছড়িয়ে আরামপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ঠিক তখন প্রেমতত্ত্ব ও অধ্যাত্মবাদের সন্ধান দিয়েছেন। ভালবাসা ও ভালবাসতে শেখা এ রূপ মহৎ দর্শন প্রেমের রাজ্যে প্রবেশের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। রুমির কাব্য প্রমাণ করে যে, এই পৃথিবীতে সব ধর্মের লােক শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাসে সক্ষম। তাঁর অন্তর্দৃষ্টি, বচন ও জীবনবােধ হৃদয়ে শান্তি ও আনন্দ উদ্ভাসিত করে ক্রমাগত সংঘর্ষ, ঘৃণাকে চিরতরে নির্বাসন দেওয়ার শিক্ষা দেয়। বাংলা ভাষায় যে কয়েকজন ইরানি কবিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি, চর্চা ও গবেষণা হয়েছে এবং যাদের সাহিত্যকর্ম বেশি অনুদিত, ত্রয়ােদশ শতকের প্রথমভাগের পারস্যের মরমি ও প্রেমের কবি রুমি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। রুমির প্রতি শ্রদ্ধা। জানিয়ে ইউনেস্কোর পক্ষ হতে ২০০৭ সালকে ঘােষণা করা হয় 'রুমি বর্ষ' হিসেবে। এ উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্যেও এই শ্রেষ্ঠ মরমি কবির ৮০০তম বার্ষিকী উদ্যাপন সমগ্র বিশ্বে সৃষ্টি করেছে অভূতপূর্ব আলােড়ন।
আব্দুল করিম জন্ম ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরকচ্ছপিয়া গ্রামে মার্চ ১, ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে। পিতা আব্দুল জব্বার ও মাতা খায়রুন নেছা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক প্রথম শ্রেণিতে প্রথম ও প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে। আগ্রহের বিষয় গবেষণা ও লেখালেখি।