"অতিপ্রাকৃত উপন্যাস : হিমঘর" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বিশাল এক ঘন জঙ্গল। সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন অংশ। সেই জঙ্গলের কোল ঘেঁষে বহু বছরের পুরনাে একটা জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়ির সামনে দিগন্ত বিস্তৃত অথৈ দিঘি। ওখানকার লােকেদের কাছে ওই জঙ্গল, জমিদার বাড়ি আর দিঘিটা ভয়ানক রহস্যের ধূম্রজাল। অনেকেই ওই জঙ্গলে ঢুকে আর ফিরে আসেনি। যারা ফিরে এসেছে, নিয়ে এসেছে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। দিঘিতে ডুবেও গায়েব হয়েছে অনেকে। লাশ আর ভেসে ওঠেনি। রাতের আঁধারে দিঘির গভীর থেকে উঠে আসে অতি রূপবতী এক তরুণী। মুহুর্তক্ষণ বাদেই তরুণী অদৃশ্য হয়ে যায়। দেখা যায় বিদঘুটে চেহারার কুচকুচে কালাে রঙের এক বিড়ালকে ঘুরে বেড়াতে। প্রাণীটার একটা চোখ নেই। চোখবিহীন শূন্য কোটরের গর্তে অপার্থিব জমাট অন্ধকার। অন্য চোখটা অস্বাভাবিক রকম জ্বলজ্বল করে। জঙ্গলে বা দিঘিতে গায়েব হওয়া কারও-কারও মৃতদেহে নিখোজের কয়েক বছর পর ফেরত পাওয়া যায়। চেহারা চেনা যায় না তখন। মানুষের দেহ বলে ভাবতেই কষ্ট হয়। শুকনাে, দরকচা মারা, মমির মতাে চিমসানাে দেহ। যেন কোনাে অশুভ শক্তি হতভাগা মানুষটার দেহ থেকে সমস্ত রক্ত, মাংস, রস শুষে নিয়েছে।
আফজাল হােসেন জন্ম : ১৯৮০ সনের ৪ জুলাই। পিতার নাম : মােঃ আবুল কালাম সরদার (মৃত)। পেশায় তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের সহকারী রেজিস্ট্রার ছিলেন। শিক্ষাগত যােগ্যতা : ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স, এলএলবি, ব্রজমােহন বিশ্ববিদ্যালয়। লেখালেখিতে আত্মপ্রকাশ : মে ২০০৮, রহস্য পত্রিকায়। সেই থেকে রহস্য পত্রিকায় প্রায় একশত গল্প-উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।