"মশলার চাষ" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: রােজই আমরা রান্নায় কোনাে না কোনাে মশলা ব্যবহার করি। এতে রান্না সুস্বাদু হয়। পিয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, কালােজিরা, দারুচিনি, এলাচ, জিরা, মৌরী, মেথী, রাধুনী ইত্যাদি আমাদের রান্নার সাধারণ কিছু মশলা। কিন্তু সব মশলার চাষ এ দেশে হয় না। জিরা ও এলাচ আমাদের দেশের মশলা নয়। তেমনি জাফরান। তবে রান্নার অধিকাংশ মশলাই এ দেশের জমিতে চাষ করা হয়। সব মশলার চাষ পদ্ধতি এক রকম। নয়। এর উপর আছে মশলার নানা রকম রােগ ও পােকামাকড়। আছে মাঠ থেকে মশলা ফসল। তােলার পর সেসব প্রক্রিয়াজাতকরণের ঝামেলা। লেখক কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় অত্যন্ত সহজ ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে লিখেছেন ‘মশলার চাষ’ বইটি। বইটিতে বিভিন্ন মশলা ও সুগন্ধি গাছ। চাষের জন্য জমি ও মাটি কি রকম হবে, কখন কতটুকু বীজ বুনতে হবে, কতটুকু সার ও সেচ লাগবে, পােকা ও রােগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কেমন করে, কখন ফসল তুলতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলাে বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন। এ দেশে শুধু মশলা ফসল নিয়ে এরকম বই আর দ্বিতীয়টি নেই। আশা করি বইটি মশলা চাষিদের বিভিন্ন তথ্যের চাহিদা মেটাতে পারবে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।