আইনস্টাইন ল্যাবরেটরি থেকে বার বার সংকেত পাঠিয়ে ওমেগাড্রনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করছে বিজ্ঞানী রুহি ও রনি। কিন্তু সুপারগার্ল রুবি ওরফে জুই কিংবা গােলাকার বস্তুটা কোনটার সাথেই ট্রান্সফরমার সংযােগ পাচ্ছে না ওরা। ট্রান্সমিশন টাওয়ারের কাজ না করার কারণটা বুঝে গেছে রুহি। মহাশূন্য থেকে এই গ্রহে কাজ করার বাধা হয়ে দাঁড়াল ব্ল্যাক কার্বন প্রলেপ। এই প্রলেপে কপারের মাত্রা বেশী। কিন্তু এই বাধা পেরােনাের উপায় কি? উপায় অবশ্যই আছে, হয় তাদেরকে পৃথিবী গ্রহের ভেতর ট্রান্সমিশন টাওয়ার বসাতে হবে, নয়তাে সুপারগার্লকেই তার নিজস্ব শক্তি ও বুদ্ধি দ্বারা কাজ করতে হবে। আইনস্টাইন ল্যাবরেটরিতে বসে মজা দেখার সময় নেই। কম্পুটার স্ক্রিনে 02 কোড প্রেস করে রােবটের মেমােরি ওপেন করল বিজ্ঞানী রুহি। রনিকে বলল ট্রান্সমিশন টাওয়ারের সাথে যােগাযােগ স্থাপন করতে। রােবটটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ওমেগাড্রনের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য কম্পুটার স্ক্রিনে নির্দেশ পাঠিয়ে দিল। রুহি ম্যাগনেটিক পাওয়ারের সাহায্যে আলােক রশ্মিকে ভেলসিটির জিরাে পয়েন্টে প্রক্ষেপণের কাজে ব্যস্ত। কিন্তু এই সিটি ল্যাবরেটরির পাওয়ার নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় কোন কাজ করতে পারছে না তারা। নতুন কিছু উদ্ভাবনের কাজে গবেষণায় মন দিল রুহি ও রনি।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।