তারুণ্যের উচ্ছ্বাসই মানবজীবনকে সফলতা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণাদান করে। যেখানে তারুণ্যের উচ্ছাস তথা মানসিক শক্তি গতিহীন সেখানে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথ বন্ধ। পৃথিবীর চারদিকে আজ তারুণ্যের জয় জয় রব ধ্বনিত হচ্ছে। যারা তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরপুর হতে পারেননি, তারা পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। আমাদের ভেতরে আত্মশক্তি ও দৃঢ়তার প্রবাহ সৃষ্টিতে তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম। এ দুই শক্তির সমন্বিত প্রয়াসের হাত ধরেই সাফল্যের ভিত্তি নির্মিত হয়। আত্মশক্তি আশাবাদের ফল্পধারা তৈরি করে। আশাবাদী মানুষ দশগুণ উৎসাহের সাথে নিজের কাজ করে থাকে। তারা জানে যে তারা অবশ্যই সফল হবে। সময়ের সাথে-সাথে তাদের আশা আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে, ক্রমেই তা অসীম বিশ্বাসের শক্তিতে পরিবর্তিত হয়, ফলে সফলতা নিশ্চিত হয়ে যায়। আমরা তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের ভেতর দিয়েই নিজেদের প্রকাশ করি। যার মানসিক শক্তি যত সৃষ্টিশীল ব্যক্তি জীবনে তিনি ততটাই সফল হয়ে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হােন। আমাদের স্বপ্নগুলাে তারুণ্যের হাত ধরে প্রথমে মানসিক চিন্তায় স্থান পায় পরবর্তীতে তা পরিকল্পনায় রূপ নেয় এবং তারপর আমরা তাকে বাস্তবে রূপদান করতে এগিয়ে চলি। হএভাবে চিন্তাগুলােই আমাদেরকে আশা ও প্রত্যাশার পদচিহ্ন এঁকে দেয়। যে পথ ধরে আমরা সাফল্যের সুনিশ্চিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি।
Title
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আত্মশক্তি ও দৃঢ়তাই সাফল্যের ভিত্তি
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।