হঠাৎ করেই অদ্ভুত সব ব্যাপার ঘটতে শুরু করল ‘পৃথিও’ গামী মহাকাশযানগুলােতে। অভিযাত্রীরা করছিল এক রকম, হয়ে যাচ্ছিল অন্য রকম। এমনকি চিন্তার খেই হারিয়ে ফেলছিল মনিষ বিজ্ঞানীরা। অংকশাস্ত্রে ও বিস্ময়বালকও কোনাে অংক মেলাতে পারছিল না। এক সময় প্রচণ্ড এক ঝাকুনিতে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেল। মহাকাশযানগুলাের কোনটা কোনদিকে ছিটকে পড়ল হদিসও পাওয়া গেল না। একটি মহাকাশযান আছড়ে পড়ল পৃথিওতে। তবে সেটাতে নীতিনির্ধারকদেও কেউ ছিল না। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একদল অতিবুদ্ধিমান প্রাণী সে সময় বেড়াতে গিয়েছিল পৃথিওতে। তারা মুখ থুবড়ে পড়া মহাকাশযানের মনিষদের উদ্ধার করল মরমর অবস্থায় সুস্থও করে তুলল। তবে তাদের সত্তাকে দিল গণ্ডিবদ্ধ করে। সেই গণ্ডি কি কোনােদিন ভেদ করতে পারবে মনিষরা? তারা এসেছিল গ্যালাডি ইয়াঙ্কি-জিরাে এইট থেকে। নিজেদের গ্রহ গ্রেগরিও থেকে সব শক্তি শুষে নিয়ে গ্রহটিকে একেবারে ছােবড়া বানিয়ে ধ্বংসের দোরে ঠেলে দিয়ে নতুন গ্রহে নতুন ঠিকানা গড়তে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। জবরদস্তি প্রভাব-বলয় বিস্তার করে, স্বার্থপর-অবিবেচক ভােগ-বিলাসে মত্ত হয়ে নিজেদের পায়ের তলার মাটিকেই বিপর্যস্ত করে তুলেছিল তারা। কোণঠাসা করে রেখেছিল অন্যসব প্রাণী-প্রজাতিকে। লাখ লাখ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা গ্রহটিকে টুটি টিপে ধরে শাসরােধ করতে একটুও কসুর বােধ করেনি তারা। অনিবার্য হয়ে উঠল অন্য গ্রহে ঠিকানা খুঁজে নেয়া। সেই কাজটিই করল তারা; তবে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে। এমনকি নিজেদের প্রজাতির অন্যদেরও ঘুণাক্ষরে জানতে দিল। না তাদের এই কপট সটকে পড়ার ব্যাপারটি। ... বহু বহু যুগ পরে তাদের উত্তরসূরিরা তাদের গণ্ডিকে অতিক্রমের পথে হাঁটতে শুরু করল। উৎসমূল আলাের গণ্ডি পেরিয়ে ছিনিয়ে আনতে চায় তারা মহা বিজয় পারবে কি?...