"পুনঃশায়াতিন" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ নিজের অমরত্বের বিনিময়ে ভালােবাসার পুরুষটিকে জীবনদান দিয়েছিল সে। আকাশলীনা... জগতের প্রাচীনতম পিশাচী, কিংবা শায়াতিন স্বয়ং। গহীন জঙ্গলের আদিম এক গােত্রে কথিত এটাই আছে সে-ই। মাটির পৃথিবীতে শায়াতিনের প্রতিরূপ ।। তবে কি এবার সফল হলো থিত্ত ও লীমার জন্মান্তরের যাত্রা? সহস্র সহস্ৰ বছর পূর্বে ভালােবাসার যে ওয়াদা তারা করেছিল, সন্তান বুকে নিয়ে যে জীবনের স্বপ্ন তারা বুনেছিল... অবশেষে কি মিলল সেই জীবন? আয়ান ও আকাশলীনার রূপে একটা ছােট্ট , শান্তির জীবন কি তাদের আপন হতে পারলাে? প্রকৃতি, নিয়তি আর মহাকাল কি তবে পরাজিত হলাে এবার তাদের জন্য জন্মান্তরের ভালােবাসার সামনে? ... আড়ালে তাই মুচকি হেসেছিল প্রকৃতি, কুটিল চাল চেলেছিল নিয়তি আর নিজের সবটুকু ক্ষমতা প্রয়ােগ করেছিল মহাকাল। ঘটে গেলাে সেই ভয়ংকরতম ঘটনা। যা নিজেদের দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেনি আয়ান ও আকাশলীনা। জীবন আরও একবার তাদেরকে মুখােমুখি দাঁড় করিয়ে দিল নিষ্ঠুর এক পরীক্ষার সামনে... এবারাে কি হেরে যাবে তাদের জন্মান্তরের ভালবাসা? অন্ধকারের সম্রাজ্ঞী আর এক সাধারণ মানব সন্তানের ভালবাসা কি কখনাে সফল হতে পারে? জবাব মিলবে এবারের কাহিনিতে। “শায়াতিনের কাহিনীর সূত্র ধরে জন্ম জন্ম জন্মান্তরের আরও এক ভালােবাসার গল্প “পুনঃশায়াতিন"...
Rumana Bayshakhi অনেকে রসিকতা করে বলেন, বয়সকে অতিক্রম করেছেন তিনি- তাঁর লেখায়। তিনি রুমানা বৈশাখী। তার জন্ম মে মাসের ১২ তারিখে ঢাকায়। ঢাকায়ই বেড়ে ওঠা । পড়ালেখাও । স্নাতকোত্তর করেছেন রসায়ন বিজ্ঞানে, ইডেন কলেজ থেকে। লেখালেখির সাথে জড়িত দীর্ঘদিন। নেশার বশে শুরু করলেও এই সৃজনশীল পেশাটিকেই অবলম্বন করে বেঁচে আছেন, এই পেশাতেই ক্যারিয়ার গড়েছেন আর সেভাবেই বাঁচতে চান সারাটা জীবন । কাজ করেছেন মাসিক সাহিত্য পত্রিকা আলো ও ছায়া-র সহকারী সম্পাদক হিসেবে । নারী বিষয়ক পত্রিকা পারিতেও তিনি সহকারী সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন প্রিয়.কম-এর এডিটর ইন চার্জ পদে, কাজ করছেন লাইফস্টাইল জার্নালিজম নিয়ে। একই সাথে পরিচালনা করছেন প্ৰিয় আনসারের মতো একটি পরামর্শ সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই লিখছেন সমান তালে, স্বাচ্ছন্দ্যে। খুব অল্প বয়সেই প্রকাশিত একক বইয়ের সংখ্যাটা বেশ ভারী। সিনেমা ও নাটকের বৈচিত্র্যময় জগতেও পা রেখেছেন আগেই। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে তাঁর লেখা একাধিক নাটক।লিখেছেন শর্ট ফিল্ম। তাঁর জীবনে একটিই মাত্র লক্ষ্য। লিখতে থাকা ও ভালো লেখার চেষ্টা করে যাওয়া।