কবিতা, গল্প, চিত্রনাট্য, ফিল্ম মেকিং, রাজপথে মিছিল শ্লোগানে, পুলিশের টিয়ারগ্যাস আর রাবার বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার একটা কথাই বলতে চেয়েছি “মানুষকে বাঁচতে দাও। মানুষে মানুষের মাঝে ধর্মের অলৌকিক দেয়াল আমি মানি না” অথচ সিরিয়া থেকে নাসিরনগর পর্যন্ত আমি নিরুপায় দেখেছি মানুষের জীবনের যথেচ্ছাচার অপচয়। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে এদেশীয় আদিমতম ধর্মান্ধদের গােলামি করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র! একের পর এক ধর্মের নামে হিংস্রতার প্রতিবাদ জানানাে ও ধর্মের বুজরুকী ফাঁস করে দেয়া মুক্তচিন্তককে হত্যা করেছে ধর্মান্ধরা, তাদেরকে আইনিভাবে সহায়তা করে গেছে রাষ্ট্রের ক্ষমতালােভী শাসকগণ। তারা বাজেয়াপ্ত করেছে মানবিক আবেদন জানানাে বইগুলােকে। অথচ আমাদের মুক্তিযযাদ্ধাদের স্বপ্ন ছিলাে অন্যরকম। টুপি আর আরবীয় আলখাল্লার নিচে নিরাপদ বসত গড়েছে একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের ছােবল দেয়া জামায়াত শিবিরসহ অন্যান্য কালকেউটের দল। আর আজকের বাংলাদেশে আজকের মুক্তচিন্তা আর বাক স্বাধীনতার দাবি জানানাে বুদ্ধিবৃত্তির চর্চাকারীদের পেছনে চাপাতি হাতে দাঁড়িয়ে আছে সেইসব কালকেউটের ছানাপােনারা। আর টেলিভিশনের টকশােতে ধর্মান্ধদের অনুমােদিত লিখিত দর্শন পাঠ করে বিক্রীত ও বিকৃত কিছু রাষ্ট্র পালিত বুদ্ধিবেশ্যাগণ।। অথচ একদিন ইতিহাস বলবে এদেশে প্রকৃত বুদ্ধিচর্চাকারীদের কখনাে টেলিভিশনের ইঞ্চি মাপা পর্দায় আটকানাে যায়নি। তাদেরকে দেখা গিয়েছিলাে রাজপথে মানুষের পাশে, তাদের নিজস্ব ব্লগ ও ভার্চুয়াল দেয়াল লিখনে। তারপর একদিন টিএসসি কিংবা আজিজ সুপার মার্কেটে পাওয়া গিয়েছিলাে তাদের মগজ, আর শরীরটা আশ্রয় পেয়েছিলাে ঢাকা মেডিকেলের লাশকাটা ঘরে। মাঝেমাঝে মনে হয় “বেঁচে আছি অভ্যাসবশত।