মেঘবতীর ঘুম আসে না। রাত হলে স্বপ্নকুমার দেখা দেয়। ভােরবেলা ঘুম থেকে উঠেও গায়ের মধ্যে লেগে থাকে স্বপ্নকুমারের স্পর্শের গন্ধ। মেঘবতীর মনে হয় দিনের বেলাটাই আসলে একটা দুঃস্বপ্ন, যখন স্বপ্নকুমার থাকে না। রাত হলে প্রাণ ফিরে পায় সে। জানে স্বপ্নকুমার আসছে...। ফোকাসবয় আধুনিক কোন এক শহরের ডানপিটে ব্যাড বয়। হাই স্পিডে গাড়ি চালায়, সিডিতে বাজতে থাকে মেগাডেথের গান, সন্ধ্যাবেলাতেও চোখে সানগ্লাস। পাশে বসা অপরূপা সুন্দরী এক তরুণী, লাল শাড়ি পরা, হাত ভর্তি চুড়ি। ফোকাসবয় ভেঙেচুরে দেয় তার মধ্যবিত্ত জীবন। ভালােবাসা, প্রেম...তীব্র আকাঙ্ক্ষা। ফোকাসবয়ের সাথে জীবন তাকে কোথায় নিয়ে যায় কে জানে! রবিনের কিছু ভালাে লাগে না। সুন্দরবনের জোছনা অসম্ভব সুন্দর, পূর্ণিমা তাে অপার্থিব, বন্ধুরা জাহাজের ছাদে আড্ডা দেয়, রবিন কেবিনের জানালা দিয়ে চাদ দেখে। কমলা একটা চাঁদ উঠেছে আজ। ফোনের নেটওয়ার্ক ঠিক মতাে থাকে না, খালি মনে হয় কে যেন ফোন করেছিল! মনে হয় কে যেন বলছিল, মরাে কেন? দুনিয়াতে এত মানুষ মরে, তুমি মরাে না কেন? তুমি মরলে আমি বাঁচি। রবিন ভাবে, মানবী, বাঁচি আর মরি, তােমার সাথে এই পূর্ণিমা জীবনে একবার দেখতেই হবে এবং সেদিন আমার হাতে তােমার মেহেদি রাঙা হাত থাকবে জেনাে, নিশ্চিত... এমনই অসাধারণ সব অণুগল্পের সম্মিলন ঘটেছে কাক জোছনায় । সবাইকে স্বপ্নরাজ্যে স্বাগতম..