"প্রাচীন মিশর" বইটির পূর্বাভাষ অংশ থেকে নেয়াঃ মিশরের স্বপ্নময় অতীতকে আবিষ্কার করে মিশর তত্ত্ববিদেরা এমন একটি ‘লস্ট অ্যাটলানটিস’-এর সন্ধান দিয়েছিলেন, যেখানে মানুষের প্রথম আত্মসম্বিৎ সচকিতে চোখ মেলেছিল, সভ্যতার প্রথম দীপ্তি ঝলমলিয়ে উঠেছিল। রূপকথা নয়, কিংবদন্তি নয়, মিশরের যে-ইতিহাস তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায় সহকারে গড়ে তুলেছেন, সে-ইতিহাস একান্ত বাস্তব একটি সুদৃঢ় ইমারত, পিরামিড ফিঙ্কসের মতােই যার বিকার নেই, বিনাশ নেই। এখানকার সুন্দর সুন্দর প্রাচীরচিত্র, বিরাটাকার ভাস্কর্য সবই সেই আদিকালের ইতিবৃত্তের সঙ্গে জড়ানাে, ইতিহাস চিরঞ্জীব হয়ে আছে অতুলনীয় শিল্প-সম্পদের মধ্যে। প্রাচীর ও পাহাড়ের গায়ে হায়রােগ্লাইফিক লিখনের পাঠোদ্ধার করে, রাশি রাশি প্যাপিরাসে লিখিত নানা বিবরণ পাঠ করে তারা এতকালের কৃষ্ণ: যবনিকা ছিড়ে ফেলে দিয়েছেন, বিশ্বমানবের সামনে এনে ধরেছেন মিশরের বিভিন্ন যুগের অনুপম কাহিনী, রাজবংশ রাষ্ট্র সমাজ ধর্মের অসংখ্য বর্ণাঢ্য চিত্রাবলি। সেই সুপ্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলার পাঠকের একটু বিশেষ পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যেই এবইখানা লেখা হয়েছে।