প্রকাশিত হল খালিদ মারুফ-এর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ 'রেইল ক্রসিং'। বইটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছেন শিল্পী সিলভিয়া নাজনীন । বইটিতে মোট ৫ (পাঁচ)টি গল্প রয়েছে। “তিন দশকের জীবনে এ যাবৎ লব্ধ অভিজ্ঞতা ও কল্পনার বয়ন তাঁর সবগুলো আখ্যান । বাঙালি জীবনের সবচেয়ে বড়ো অভিজ্ঞতা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, তৎপরবর্তী মানুষের পরিবর্তমান জীবন এবং অনুভূতিসমূহ খালিদ তাঁর নিজের কালচৌহদ্দিতে অবস্থান করেই অনুধাবন করেছেন; ফলত সমকাল ও ইতিহাস তাঁর গল্পকথাগুলোতে প্রবলভাবে উপস্থিত। আখ্যানের বিষয়বস্তুর পাশাপাশি অঙ্কনভাষা রপ্ত করতেও তিনি ঐতিহ্যানুগামী হয়েছেন; কার্যত এক মূলানুসারী বয়নভঙ্গি তাঁর গল্পকথায় সতত সঞ্চরমাণ।” কথাশিল্পী হতে গেলে তাকে যে আধুনিকতম শিল্পকৌশল জানতে হয়, খালিদের বর্ণনা ও দেখানোর দক্ষতা তা জানিয়ে দেয় । ব্যাপারটা কমলকুমারীয় নয়, খালিদের নিজের; ইলিয়াসের নয়, তাঁর উত্তরপুরুষের।” বস্তুকে কেন্দ্রে রেখে ধীরে ধীরে অনুভূতির অবস্তুর দিকে যাত্রা তাঁর। মানুষের অবস্তুরূপী স্মৃতিকে হঠাৎ কোনো আলম্বন বা উদ্দীপন-মাধ্যমে জাগিয়ে তুলে অনুভূতি সঞ্চার করা তার উদ্দেশ্য। ইতিহাস-মুক্তির ইতিহাস আর মহান মুক্তিযুদ্ধ খালিদের আখ্যানগুলোর সহজিয়া সুর, স্মৃতির সংগ্রাম থেকে সত্তার স্বরূপ নির্ধারণের বিন্যস্ত পাঠ।
খালিদ মারুফ। রেহানা মারুফ ও মারুফুল হক মোল্লা দম্পতির প্রথম পুত্র। জন্ম ১৯৮৫ সালের ১০ আগস্ট, বাগেরহাট জেলার বেশরগাতী নামক এক সংঘাতপ্রবণ গ্রামে। পুরো কৈশোর আর যৌবনের কিয়দংশ কেটেছে নড়াইল-গোপালগঞ্জে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগের ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।