মূলত ছড়াকার, ভুলত গল্পকার ও গীতিকার। তালুকহীন তালুকদার। শত্রুশব্দ ও রাজাকার ও অন্ধকার। ১৯৭১ এর সম্মুখ মুক্তিযোদ্ধা, এটা তার অর্জন ও অহংকার। মাত্র তিন সন্তান তার। একজন মাত্র গিন্নি তার। নাম তার ডলি তালুকদার। পেশায় স্বরাষ্ট্রের দক্ষ পরিপক্ষ অধিকর্তা। অতি সুস্বাদু ছানা-ভর্তা। এটাই গোপনীয় খবর তার। কী? খুব চমৎকার? না মজাদার! প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা বেশি নয়। তবে তিনকুড়ি হবে। এই শুরু সবে। ছড়ার বই, এই যেমন- ঘুম তাড়ানো ছড়া ১৯৮২, খোঁচান ক্যান? ১৯৯০, প্যাচাল না আলাপ ১৯৯৫, চাঁদের কাছে ১৯৯৯, যুদ্ধে যদি যেতাম হেরে ২০০০, ডিম ডিম ভূতের ডিম ২০০২ ২ড়ায় ছড়ায় আলোর নাচন ২০০৫, চলছে গাড়ি ছড়ার বাড়ি ২০০৮, আবার আবোল তাবোল ২০০৯, আদিমকালের চাদিম ছড়া ২০১০। গল্প: মহাদেশ বাংলাদেশ উপদেশ, শিশুদের শিশুটামি, নাইদেশের রূপকথা, ভূতের সঙ্গে ভূত আমি, নয় ছয় ভূত, রূপকথার আলোকলতা, রূপকথার গল্প, এক কথায় দশ কথা, আলোকিত বাঙালি, চীন দেশের রূপকথা। আলম তালুকদারের বেড়ে ওঠা একেবারে গ্রামের ভিতরে, গ্রামের মধ্যে। টাঙ্গাইল জেলায়, তারপর ঘাটাইল উপজেলা। সেখান হতে ৪ কিলো পশ্চিমে গালা গ্রামের তার বাবা দাদার ভিটা। স্কুলের সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি তার জন্ম। নাড়ি পোঁতা আছে আবার মাতুলালয়ে। কাগজী নাম শংকরপুরে মামার বাড়িতেই তার প্রথম আগমন এবং ওয়া ওয়া শব্দ শুরু। এখনও শব্দ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, কিছু করে খাচ্ছে। তিনি সিতিলের নানা; এটা যাদের নেই জানা, তাদের নানা বলতে মানা। কানা কানা গানা গানা, কেমন লাগে কুমির ছানা। এই পর্যন্তই থাক আমাদের দুর্গতি ঘুচে যাক।
Alam Talukder, জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৫৬, টাঙ্গাইলে। শিশুসাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তাঁর স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা আশি ছাড়িয়েছে। শুধু শিশুসাহিত্য নয়, রম্যসাহিত্যেও তাঁর মুন্সিয়ানা লক্ষ করা যায়। চাঁদের কাছে জোনাকি ছড়ার বইয়ের জন্য ২০০০ সালে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পালক অ্যাওয়ার্ড, জয়নুল আবেদিন পুরস্কার, কাদির নওয়াজ পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, পদক্ষেপ সাহিত্য পুরস্কার, সাহস পুরস্কার, স্বাধীনতা সংসদ পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গের চোখ সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭১ সালে তিনি সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার নামে একটি বইও তিনি রচনা করেছেন। আলম তালুকদার দেশের বিভিন্ন পাঠাগারের আজীবন সদস্য। বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার। তাঁর একটা মাত্র গিন্নি এবং একটা মাত্র নাতনি। তিনি তিন সন্তানের জনক। তাঁর প্রিয় ছড়ার লাইন- ‘শব্দ ছাড়া হয় না কিছু শব্দ হলো গুণ শব্দে জাগায় ভালোবাসা শব্দ করে খুন’