বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া ইলাস্টিক প্রেম, বাড়ে কমে ছেঁড়ে। ঠিকঠাক ধরে রাখা দায়। যে যাকে চায় তাকেও দূরে ঠেলে দেয়, মান-অভিমানে। মনের কথা মনেই থেকে যায়। বলা আর হয় না। সম্পর্কের বিচিত্র গতি বর্ণময় থেকে বিবর্ণ। রাসনা আর অনাবিলের ভালোবাসাটা সে রকমই। মা হয়েও সিঙ্গল মাদার হিসেবে বাঁচতে চায় অভিনেত্রী রাসনা। দুজনের দূরত্ব বাড়ে। টেনিস তারকা কিম ক্লিস্টার্সের সঙ্গে নিজের তুলনা করে। ভাবে ২০০৯-এ ক্লিস্টার্স যখন ইউ এস ওপেন টেনিস চ্যাম্পিয়ন সুন্দর কোরকের মতো তাঁর কন্যাটি পিটপিট করে তাকে দেখছে গ্যালারি থেকে। ট্রফি জিতে ক্লিস্টার্স সেটা উৎসর্গ করেছে তাকেই। অনাবিলের ভাবনায় শুধুই রাসনা। অন্য কাউকে মানতে পারে না। নরম মনের গম্ভীরা পাশে এসেছে। তাঁকে ছুঁতেও দ্বিধা। সংবেদনশীল অনাবিলের কাছে রূপসী নীল সরোবরে পা ছোঁয়ানো মানে তাকে লাথি মারা। আলতো আদরের হাত দিয়ে স্পর্শ করে সরসী। গম্ভীরা ভেজা হাতটা তার মুখে বুলিয়ে দিতে বলে। অনাবিলের উত্তর, এ হাত একজনের মুখ ছুঁয়েছে, অন্য মুখ কী করে ছোঁবে? অভিনেত্রী রাসনা অভিনয় করেছে অনেক। প্রশংসাও পেয়েছে। বাস্তব যে এত কঠিন বোঝেনি। সব অভিমান ছিঁড়ে শেষে অনাবিলকে ডাক পাঠিয়েছে। সাড়া দেবে তো অনাবিল?