"আমার ভিনদেশি তারা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কলেজে পড়ুয়া হিন্দু মেয়ে তারাকে ভালােবেসে ফেলে মুসলমান ছেলে সােহান। তাদের এই ভালােবাসা ত্রিভুজ প্রেমে মােড় নেয় শিউলী নামের একটি মেয়ের আবির্ভাবে। তবে শিউলী বিশ্বাস করেছিল, তারার আগে সে সােহানের ভালােবাসা পেয়েছে। কিন্তু তা একটা মিথ্যে ভিত্তির ওপর জানার পর সে ভেঙে পড়ে। তারা'র ওপর একরাশ ঈর্ষা জন্ম নেয় । শিউলী তার জীবনের কটা দিন সােহানের সাথে কাটানাের একটা স্বপ্ন দেখে। সােহান ভালােবাসার হাত নয়, মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় শিউলীর প্রতি। নমনীয় ব্যক্তিত্বের সােহান আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ে একটা ভুলে। দৃঢ়মনের মেয়ে তারা কি ছিটকে পড়েছিল সােহানের এই প্রেমের আবর্ত থেকে? তারার সাথে প্রেম-জটিলতা, হঠাৎ বিরহ, আরও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সােহানকে মানসিকভাবে পর্যদস্ত করে ফেলে। সে সর্বগ্রাসী মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ভারতে অধ্যয়নরত সােহানের যমজ ভাই রেহান ছুটে আসে সােহানের কাছে। পরম বন্ধুর মতাে ভাইয়ের পাশে দাঁড়ায়। সােহানকে সঠিক পথে ফিরে আনার চেষ্টা করে। এক শ্রেণির মানুষের অসহায়ত্ব এবং সমাজের কিছু সূক্ষ্ম বঞ্চনাও এই গল্পে রয়েছে। গল্পের শেষাংশে নাটকীয় ও চূড়ান্ত মােড় নেয় সােহানের সাথে মহুয়ার একটি ঘটনা। অনেকটা বাস্তবতার আলােকে এই গল্প লিখেছেন গ্রন্থকার । পাঠকরা যাতে গল্পটাকে জীবনচরিত ঘটনা মনে করেন এই জন্য লেখাটা গল্পের আদলের বদলে ঘটনার ক্রমাগত ফ্ল্যাশব্যাকের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। একদিকে যেমন জীবনের হাসি-আনন্দ, অন্যদিকে হতাশা, কষ্টের উপলব্ধিটাও পাঠকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন গ্রন্থকার।