"বায়না করা বৌ" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আশুতােষ গাঙ্গুলীর একমাত্র পুত্র অর্পণ সাবিত্রীকে বিয়ে করে। হানিমুনের উদ্দেশ্যে শহরে পাড়ি দেয়। ম্যানেজার কালী নাগের চক্রান্তে মাঝপথে অর্পণের মােটরগাড়ির ইঞ্জিন বাষ্ট হয়। হারিয়ে যায় গাঙ্গুলীবাড়ির কুললক্ষ্মী সাবিত্রী। অর্ধোন্মাদ অবস্থায় বাড়ি ফেরে অর্পণ। কালী নাগ নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে নতুন করে চক্রান্তের জাল বােনে। সাবিত্রীর সঙ্গে চেহারার অদ্ভুত মিল থাকায় কালী নাগ পতিতাপল্লীর পতিতা সতীকে এক মাসের জন্য বায়না করা বউ সাজিয়ে অর্পণের কাছে আনে। অর্পণ সতীকেই সাবিত্রী ভেবে ধীরে ধীরে সুস্থ স্বাভাবিক হতে থাকে। সতীও অতীত জীবন ভুলে মনেপ্রাণে সত্যিকারের সাবিত্রী হয়ে উঠে। ওদিকে অর্ধদগ্ধা সাবিত্রী রূপ-সৌন্দর্য হারিয়ে ভাগ্যের বিড়ম্বনায় সাজে পতিতাপল্লীর সতী। এদিকে অর্পণ ও সতীর অকৃপণ ভালােবাসার চাওয়া-পাওয়া যখন কানায় কানায় পূর্ণ হতে যায়, ঠিক তখনই প্রকাশ হয়ে পড়ে সতীর আসল পরিচয়। ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে আশুতােষ ঘৃণাভরে তাড়িয়ে দেয় সতীকে। নিরূপায় সতী তার ভালােবাসার মােহ ছেড়ে আবার ফিরে আসে তার পুরনাে জীবিকায়। কিন্তু সতীর অকৃপণ ভালােবাসার টানে উন্মাদপ্রায় অর্পণ সতীর সন্ধানে ছুটে যায় পতিতাপল্লীতে। সেখানে অর্পণের সামনে হাজির হয় সতী ও সাবিত্রী। বিস্ময়ে হতবাক অর্পণ কাকে মেনে নেবে? তার বিয়ে করা বউ। অর্ধদগ্ধা কুরূপা সাবিত্রীকে, না তার বায়না করা বউ সতীকে? এমনি অসংখ্য জীবন যন্ত্রণার বাস্তব দলিল এই নাটক—“বায়না করা বউ”। - নাটকটি কলকাতার শ্রীহরি নাট্য কোম্পানী যশের সঙ্গে অভিনয় করে।