বৈশাখী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে অপহৃতা হয় কলেজের ছাত্রী দিলশাদ-বন্ধনা। রাতের অন্ধকারে নদী থেকে মাছধরা জেলেরা তাদের বিবস্ত্র-মৃতপ্রায় দেহ উদ্ধার করে। তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও পরিবার-সমাজের সন্দেহ দৃষ্টি, গঞ্জনা-অপমান তাদের ছাড়ে না। এক সহপাঠী দিলশাদকে অন্তর থেকে ভালােবাসে। কিন্তু সে তা সহজভাবে নিতে পারে না। দেহ যে অপবিত্র। এদিকে নির্যাতিতা বন্দনা গরু-মহিষ আনা-নেওয়ার চোরাই পথে পালিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী দেশে। মা-বাবার একমাত্র তরুণী মেয়ে ইছামতির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে এলাকার কেউ মেনে নিতে পারেনি। তাদেরই আঙ্গিনায় একমাত্র বেঁচে থাকা মাকে ঘিরে এলাকার পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য গড়ে উঠে, ইছামতী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর প্রধান উদ্যোক্তা সরুজ বেপারির ধারণা, তার ৯ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে যােগদানের ৪০-৫০ বছর পরও তা অসমাপ্ত রয়ে গেছে। সুষমা-আষেক ভালােবাসার টানে জীবনমুখী হতে গিয়ে ঠেকে ঠেকে এগােয়। অবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আষেক সুষমাকে নিয়ে ভালােবাসার-সুখের-আনন্দের ‘এতটুকু বাসা’ গড়ে তুলে। তাদের অন্তরের ধনসম্পদের ঢালি সাজিয়ে জন্ম নেয় হিমেল। সুষমার ফুরসত হলে সে চাকরির সন্ধান পায়। টাকার অঙ্কের আকর্ষণে প্রশিক্ষণ নিতে দেশ ছেড়ে ব্যাংককে গিয়ে সে আত্মহত্যা করে। আষেক কথা হারিয়ে ফেলে। হিমেল তার মাকে খুঁজে। সে বড় হয়ে মাকে খুঁজে পাবে কি কোনােদিন?