‘নুনকি একটি তারার নাম (নাবিকের সমুদ্রযাত্রা)’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ক্যাপ্টেন শামস উজ জামান একজন নাবিক। ক্যাডেট কলেজ, মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম ও আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করেন। এ বইয়ে তিনি শিক্ষানবিশ নাবিক থেকে শুরু করে বড় জাহাজের ক্যাপ্টেন হয়ে সমুদ্র পরিভ্রমণের বিবরণ দিয়েছেন। তাতে উপন্যাসের একটা ভাব এসেছে। কাহিনির শুরু কলকাতা বন্দরে। তারপর ব্যাংকক-আবিদজান, আবিদজান-ওডেনস, ওডেনস-কলম্বো এবং কলম্বো-কলকাতা—ক্যাপ্টেন হিসেবে লেখকের মোট চারটি ভয়েজ বা সমুদ্রযাত্রার বর্ণনা আছে। দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা, নাবিকদের কাজকর্ম, পার্টি, হই-হুল্লোড়, আবহাওয়া, ঝড়ঝঞ্ঝার কথা যেমন আছে, তেমনি আছে বিভিন্ন বন্দর ও জনপদের কৌতূহলোদ্দীপক বিবরণ। আবুজা নামে লেখকের এক দুর্বিনীত অথচ কোমল বন্ধু-নাবিকের প্রেম হয় তার জাহাজের ক্যাপ্টেন মালহোত্রার কন্যা, চণ্ডীগড়ের মেয়ে নীলাঞ্জনার সঙ্গে। তারপর পালিয়ে ঢাকায় বিয়ে, সন্তানের জন্ম। এ দম্পতি শেষে অস্ট্রেলিয়ায় বাস করতে থাকে। পরে আবুজা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেখানে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নীলাঞ্জনা কন্যাকে নিয়ে ভারতে চলে যায়। এ করুণ পরিণতির গল্পটা মূল বৃত্তান্তের পাশে জায়গা পেয়েছে। এটি পাঠককে আকর্ষণ করবে।
সূচিপত্র:ভূমিকা ৯ প্রথম পর্ব * পেন্টিস সাহেব ১৩ দ্বিতীয় পর্ব * যুক্তরাজ্য-হংকং-আয়ারল্যান্ড ৬৯ তৃতীয় পর্ব ভয়েজ ১ * ব্যাংকক থেকে আবিদজান ৯৩ ভয়েজ ২ * আবিদজান থেকে ওডেনস ১৪১ ভয়েজ ৩ * ওডেনস থেকে কাকিনাডা ১৯৩ ভয়েজ 8 * কাকিনাডা থেকে কলকাতা ২২২ উপসংহার ২৪৬ আলোকচিত্র ১৮৫-১৯২
ক্যাপ্টেন শামস উজ জামান পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময় বরিশাল বিভাগের দক্ষিণে অবস্থিত এক প্রতান্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরে তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করেন। পরে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী থেকে গ্রাজুয়েশন করে বিদেশগামী সামুদ্রিক জাহাজের আফিসার থাকা কালিন, যুক্তরাজ্য এবং হংকং থেকে প্রফেশনাল বিষয়ের উপর উচ্চতর লেখাপড়া করেন। সবশেষে আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের কর্ক ইন্সটিটুট অফ টেকনোলজিতে অধ্যায়ন শেষে মাস্টার মেরিনার সনদ লাভ করে জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসাবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি মেরিন প্রফেশনের বিভিন্ন শাখায় মেরিন সার্ভে, অডিট, কনসালটেন্সি করার পাশাপাশি অন্যান্ন ব্যাবসার সাথে জড়িত।