"জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা-৬ : বঙ্গীয় বদ্বীপের অতীত ও ভবিষ্যৎ" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: এই বইটি খুব সংক্ষিপ্তভাবে বাংলাদেশের বদ্বীপ অংশের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও সম্ভাব্য ভবিষ্যতের একটি সরল চিত্র। এই বইটি বিশেষজ্ঞদের জন্য নয়, বরং বিজ্ঞানীরা বঙ্গীয় বদ্বীপ কীভাবে গড়ে উঠেছিল, সেটি তাঁদের গবেষণায় যেভাবে তিলে তিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন তারই একটি ছােট ভাষ্য। বিজ্ঞান গবেষণা একটা সদাসঞ্চারমান প্রক্রিয়া, সেইজন্য এখানে যে সমস্ত তথ্য দেয়া হয়েছে মনে রাখতে হবে সেগুলাে পরিবর্তনশীল। উদাহরণস্বরূপ, বঙ্গীয় সক্রিয় বদ্বীপ অংশে বা উপকূলের কাছে জলীয় বদ্বীপে ঠিক কত পরিমাণ পলি অবক্ষিপ্ত হয় তা নিয়ে মতান্তর আছে, এই বইয়ে উল্লিখিত মানসমূহ পাঠক কোনাে চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে না গ্রহণ করে বরং এই মানগুলির পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হবেন তাই আমার ইচ্ছা। পাঠের সুবিধার জন্য রেফারেন্সগুলাে তথ্যের সঙ্গে দেওয়া হয় নি, বরং বইটির শেষে সংযােজিত হয়েছে। রেফারেন্সে অনেকের কাজ উল্লিখিত হয়েছে, যদি কারাে নাম অনুল্লেখিত থেকে যায় সেটা আমার অসম্পূর্ণতা, ভবিষ্যতে সেই ত্রুটি মুক্ত করা যাবে বলে আশা রাখি।
Title
জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা-৬ : বঙ্গীয় বদ্বীপের অতীত ও ভবিষ্যৎ
জন্ম ১৯৫৯ সালে। আদি নিবাস এলেঙ্গা, টাঙ্গাইল। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেছেন। রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স এবং ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করেন। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট ইনস্টিটিউটে গবেষক ছিলেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড ক্যাম্পাসে গামা রশ্মি জ্যোতির্বিদ হিসেবে যোগ দেন। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বায়ুমণ্ডলের ওপরে বেলুনবাহিত গামা-দুরবিন ব্যবহার করে মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার মোরেনো ভ্যালি কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। ২০০৬-২০০৭ সালে ফুলব্রাইট ফেলো হয়ে ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও পরিবেশসচেতনতার প্রসারে যুক্ত। তাঁর চারটি গল্পগ্রন্থ ও পাঁচটি বিজ্ঞানকল্প উপন্যাস অভিজিৎ নক্ষত্রের আলো, দিতার ঘড়ি, নক্ষত্রের ঝড় এবং অদিতার আঁধার, নিওলিথ স্বপ্ন। বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের ওপরও তাঁর একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।