রেনেসাঁস আমাদের ও তাহাদের পণ্ডিতেরা বলেন প্রাক্-কৈশোর বা পৌগণ্ড বয়স পর্যন্ত মানবক যা জানে, দেখে, শেখে, স্মৃতিতে ধরে রাখে সে সবই হয় সারাজীবনের চৈতন্যভিত্তি। অবশ্য শিক্ষা সেই ভিত্তি পোক্ত করতে পারে, অথবা ভেঙেও ফেলতে পারে। আবহমানতায় ওই চৈতন্যভিত্তি স্থানু প্রাকৃতিক পরিবেশ, আচার-বিচার এবং সম্পত্তিসম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায়। ওই বন্দিদশাই তার শান্তি ও স্বস্তির পাদপীঠ। শিশুর মাতৃগর্ভে নিরাপত্তার মতো। সে নিরাপত্তা জঠরের শিশু তো নিজে জয় করে নিতে পারে না, মায়ের ভূমিকাতেই আছে সে নিরাপত্তা। আবার প্রকৃতি ও সামাজিক পরিবেশই মায়ের নিরাপত্তার সঙ্গে অজাতটিরও নিরাপত্তা দেয়। একটু-আধটু অভিধা বদল করে নিলে কীটপতঙ্গ-ভূচর-খেচর-জলচর সর্বজীবের ক্ষেত্রেই একই অবস্থা পাওয়া যায়। অর্থাৎ যা ঘটছে, ঘটবে, ঘটেছে কিছুতে তোমার ব্যক্তিগত ভূমিকা কিচ্ছুটি নেই। যেটুকু প্রতিরোধ, তাও ক্যাসাবিয়াঙ্কার মতো পিতৃনির্দেশ মান্য করে দগ্ধ হওয়া মাত্র। ধরো, এমনি যদি পৌগণ্ড বয়স তক মানব-শিশুকে সমাজের মাতৃগর্ভে নিরাপত্তা দিচ্ছ, বয়সকালেও সে ওই নিরাপত্তা তার আপন শিশুর জন্যও সভ্যতার শ্রেষ্ঠ উপহার বলে উত্তরাধিকার দেবে। এমন কথা পড়েছিলাম এরিক ফ্রমের ‘স্বাধীন হবার ভীতি' বিষয়ে নিবন্ধে। পড়েছিলাম, মানুষের সমাজে নাকি থাকে দুই বিবেক। এক কৰ্তৃত্ববাদী বিবেক