"অন্ধ গলির বন্দি পাখি" বইয়ের কাহিনি সংক্ষেপ: সমাজের জীবন যন্ত্রণার অতিবাস্তবদলিল এই নাটকটি। প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে দোলা দিবে। নিশিগঞ্জ থানায় নতুন বদলি হয়ে আসা দারােগা শুভঙ্কর যেন এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে। আর এই উদ্দেশ্যের বশবর্তী হয়ে সে প্রথম থেকেই এই নিশিগঞ্জের পঞ্চায়েত প্রধান রজত ও তার ব্যবসায়ী বন্ধু সত্যপ্রিয়কে টার্গেট করে। এই নিশিগঞ্জেরই আদি বাসিন্দা হলেন চন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী ও তার স্ত্রী পার্বতী। চন্দ্রনাথকে শুভঙ্কর গান কাকা বলেই জানে। আবার ওই চন্দ্রনাথবাবুর মেয়ে পাখি এই নিশিগঞ্জেই নতুন B. D. O হয়ে আসছে। কিন্তু শুভঙ্করের কাছে এই হিসেবটা যেন মেলে না। সে তাে জানে আজ থেকে প্রায় পঁচিশ বছর আগে নিশিগঞ্জ হাসপাতালে পার্বতী সন্তান প্রসব করার পর তার সেই সন্তানকে আর খুঁজে পায়নি। তাহলে পাখি কে?-কিভাবে সে এসে ঢুকল চন্দ্রনাথের সংসারের খাঁচায় ? মুন্নিও জানে না তার আসল পরিচয়। সে সত্যপ্রিয়রই নানা অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গী। জীবনের অধিকাংশ সময় তাকে জেলেই কাটাতে হয়। সে যেন এক অন্ধ গলির বন্দি পাখির মতাে মুক্তির আশায় নিরেট পাথরের দেওয়ালে ধাক্কা খেতে থাকে। বৃন্দাবন এই নিশিগঞ্জের এক জ্বলন্ত ইতিহাস। অনেক কিছুর সে জীবন্ত সাক্ষী। কিন্তু ও তাে আজ অর্ধউন্মাদ। তবে মাঝে মধ্যে ও কেন চিৎকার করে ওঠে? কি বলতে চায় ও নিশিগঞ্জের মানুষদের? শুভঙ্কর দারােগা কি পারবে সত্যপ্রিয় ও রজতকে টক্কর দিয়ে জিততে? নাকি তাকেও আগের অফিসারদের মতাে হার স্বীকার করে ফিরে যেতে হবে?