ফ্ল্যাপে লিখা কথা নগরজীবনের দুর্বার যান্ত্রিকতার পাশ কাটিয়ে সাহিত্য চর্চা অনেককের জন্যেই কষ্টসাধ্য। কিন্তু, মনের ভেতর লুকিয়ে তাকা কবিমন প্রায়শই অন্তমিলের এক সুর তোলার চেষ্টা করে, সে হোক আনমনে কিংবা নিশুতি রাতে গভীর কোন আত্মোপলব্ধি থেকে। অন্তরাত্মার ভেতর জন্ম নেয়া কবিতাগুলো বেশিরভাগ সময়ই যান্ত্রিক জীবনের একটা গতানুগতিক ডায়েরির মলাটে বন্দি থাকে। প্রকাশ হয় না শব্দাক্ষরে।
অমর একুশ বই মেলা-২০১২ উপলক্ষে আমরা একটি কবিতার বই প্রকাশের উদ্যোগ নেই। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকাশ হল আমাদের কবিতার বই ‘বহুমাত্রিক’।
সাহিত্যগুণের বিচারে কবিতাগুলো কার কাছে কেমন লাগবে আমরা ঠিক জানি না। প্রত্যেকেই নিজের গভীর উপলব্ধি থেকে কবিতাগুলোর জন্ম দিয়েছেন। সে হিসেবে পাঠক যদি সে উপলব্ধি অথবা তার কাছাকাছি গিয়ে কবিতাগুলো অনুভব করতে পারেন তাহলে আমাদের বিশ্বাস কবিতাগুলো এক মলাটে প্রকাশ করতে পারা আমাদের জন্য পরম সার্থকতা।
‘বহুমাত্রিক’ প্রকাশের পেছনের কিছু মানুষকে আন্তরিক ধন্যবাদ দেয়া উচিত। শিপু ভাই আর জামিনদার ভাই হলেন সেই দুজন মানুষ, যারা শুরু থেকেই এই বইটি প্রকাশের জন্য সদা তৎপর ছিলেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিকতার জন্য আজ আমাদের হাতে সুন্দর মলাটের এই বইটি এসেছে।
‘বহুমাত্রিক’ এর কবিরা একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে সামহোয়্যারইন ব্লগের মাধ্যমে। এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই সমমনা মানুষগুলো একত্রিত হতে পেরেছি। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সামহোয়্যারইন ব্লগের কাছে।
‘বহুমাত্রিক’ আমাদের কাছে অমূল্য স্মৃতি, এক অবিস্মরণীয় চেতনা আর এক বিরাট সফলতা। আমাদের গোটা জীবনের জন্য একটি প্রেরণা হয়ে থাকবে ‘বহুমাত্রিক’। পাঠকদের উৎসাহ হয়ত সামনে আরো কিছু সংকলন এর জন্ম দিতে পারে। আমরা সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।