মীরা ঘুমের মধ্যেই গন্ধটা পাচ্ছিলো। ফুলের একটা কড়া গন্ধ। অনেকটা গন্ধরাজ ফুলের মতো। কিন্তু ফুলের গন্ধই বা আসছে কোত্থেকে? এ বাসায় কিংবা আশে পাশে তো গন্ধরাজের গাছ নেই যে গন্ধটা ভেসে আসবে। তাছাড়া এই সাত সকালেই বা আসবে কেন? মীরা শুয়ে শুয়েই চিন্তা করতে লাগল। ঘরের ভিতর টুকটাক আওয়াজ হচ্ছে। তবু মাথা বের করে দেখতে ইচ্ছে করছে না কিসের আওয়াজ। ঘরে কেউ জেগেছে হয়ত! হঠাৎ গায়ে কারও হাতের স্পর্শ পেয়ে মীরা চমকে ওঠল। -আপা, আপা, ওঠো। আটটা বেজে গেছে। আমি যাচ্ছি। কাথাঁ থেকে মুখ বের করে ঘুম জড়ানো চোখে খালাতো বোন শুভ্রাকে এক ঝলক দেখে আবার পাশ ফিরল মীরা। সে এবার গন্ধের রহস্যটা বুঝতে পারল। শুভ্রার গা থেকে আসছে গন্ধটা। সে কোনো সেন্ট মেখেছে যেটার গন্ধ খুব কড়া। শুভ্রা এবার অনার্সে ভর্তি হয়েছে। এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ কলেজ খুলছে। ইদানিং তার সাজ গোজের দিকেই আগ্রহটা বেশি। কলেজে যাবার আগে আয়নার সামনেই অনেকটা সময় নষ্ট করে। কত রকম ভাবে যে চুল বাঁধে। সেই সাথে মিলিয়ে কানের দুল। মীরা গায়ের চাদরটা আবার ভালো করে টেনে মাথাটা মুড়ে নিল। ভাবল আরেকটু শুয়ে থাকবে চাদরে মুখ ঢেকে। নানান বিষয় নিয়ে ভাববে।