ফ্ল্যাপে লিখা কথা ভল্গার তীরে, যে জায়গাটায় লেনিনের জন্ম এবং তাঁর জীবনের প্রথম সতেরো বছর কেটেছে, সেই জায়গাটি নিয়েই আমার এই গ্রন্থ। মস্কো এবং লেনিনগ্রাড নিয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে, কিন্তু উলিয়ানাভোস্ক সম্পর্কে জানার মতো বই আমাদের একটিও নেই। সেদিক থেকে বইটির অনন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লেনিনের জীবনের প্রথম অধ্যায়টি জানা থাকলে, মানব-ইতিহাসের এই অনন্য প্রতিভাবে হৃদয়ঙ্গম করাটা সহজ ও আনন্দদায়ক হবে বলেই মনে করি।
ভূমিকা আমার ডান পায়ের গোড়ালিতে একটি চমৎকার তিল আছে। আমার তিলতত্বদর্শিনী পত্নীর ধারণা ঐ তিলের জোরেই আমি রাশিয়া, ভিয়েতনাম ও কাম্পুচিয়া ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছি। আমরা ধারণা, তিলের জোরে নয়, লেনিনের প্রতি ভালোবাসার জোরেই ১৯৮২-তে আমি ঐ তিনটি দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলাম। তা না হলে, নিজ খরচায় বিদেশ ভ্রমণ দূরে থাক, স্বদেশের প্রায় চলতে পারি না।
ভিয়েতনাম ও কাম্পুচিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে পরে লিখবো। যাঁর কল্যাণে আমার এই ভ্রমণ সম্ভব হয়েছে, তাঁকে নিয়েই প্রথম লিখলাম। ভলগার তীরে, যে জায়গাটায় লেনিনের জন্ম এবং তাঁর জীবনের প্রথম সতেরো বছর কেটেছে, সেই জায়গাটি নিয়েই আমার এই গ্রন্থ। মস্কো এবং লেনিনগ্রাড নিয়ে প্রচুর লেকা হয়েছে, কিন্তু উলিয়ানাভোস্ক সম্পর্কে জানার মতো বই আমাদের একটিও নেই। সেদিক থেকে বইটির অনন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লেনিনের জীবনের প্রথম অধ্যায়টি জানা থাকলে, মানব-ইতিহাসের এই অনন্য প্রতিভাবে হৃদয়ঙ্গম করাটা সহজ ও আনন্দদায়ক হবে বলেই মনে করি।
লেনিনকে অন্তরঙ্গভাবে জানার সুযোগ করে দেবার জন্য মস্কোর রাইটার্স ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সকৃতজ্ঞ অভিনন্দন জানাই। বইটি যদি তারা রুশ ভাষায় অনুবাদ করবার ব্যবস্থা করেন, তাহলে আরো খুশি হই। আমি চাই লেনিনের দেশ যে আমার ভালো লেগেছে, তা রাশিয়ার মানুষও জানুক।
বইটির প্রথমার্থ লিখেছিলাম ১৯৮২-এর ডিসেম্বরে, শেষার্ধ লিখেছি সম্প্রতি। অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এ-বইয়ে মুদ্রণ কম, কিন্তু আছে। সে-জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বইটি সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্য প্রকাশক গোলাম মোস্তফাকে প্রকাশ্যেই প্রশংসা জানাই। মুদ্রণকালে প্রেস-কর্তৃপক্ষ ও প্রেস শ্রমিকদের অকৃপণ সহযোগিতা পেয়েছি। এবার পাঠকের সহযোগিতা পেয়ে হয়। কিমধিকমিতি।
জন্ম: জুন ২১, ১৯৪৫, আষাঢ় ৭, ১৩৫২ বঙ্গাব্দ, যিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে ব্যাপক পরিচিত,তিনি একজন বাংলাদেশী কবি এবং চিত্রশিল্পী। কবিতার পাশাপাশি তিনি গদ্য এবং ভ্রমণকাহিনীও লিখেছেন। তাঁর কবিতায় মূলত নারীপ্রেম, শ্রেণি-সংগ্রাম এবং স্বৈরাচার বিরোধীতা, এ-বিষয়সমূহ প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৭০ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রেমাংশুর রক্ত চাই প্রকাশিত হবার পর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এ-গ্রন্থের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা হুলিয়া কবিতাটি ব্যাপক জরপ্রিয়তা অর্জন করে এবং পরবর্তীতে এর উপর ভিত্তি করে তানভীর মোকাম্মেল একটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতাটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্য। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলা একাডেমী , ২০০১ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেন।