॥ দুই ॥ আদ্যোপান্ত এক রাজনৈতিক চরিত্র অতুল্য ঘোষ। অন্তত ১৯৬৯ অবধি। তারপর নতুন বাঁক নিল তাঁর যাত্রাপথ। এই যে মোড় তার নেপথ্যে তিন প্রকার কারণকে শনাক্ত করা হয়। নিজের পরাজয় এবং দলের পরাজয়। দলের বিভাজন। সহকর্মীদের কাছ থেকে বিশ্বাসভঙ্গের আঘাত। কারণগুলি বলশালী। কিন্তু পাশাপাশি অন্য অনেক কারণও জড়াজড়ি করে আছে। একথা ঠিক যে পরাজয়—দল এবং তাঁর রাজনীতিতে তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। এ রকম ঘটনা রাজনীতিতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিরল নয়। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে নামডাক প্রতাপপ্রতিপত্তিময় ক্ষমতার বর্ণাঢ্য বলয় স্বেচ্ছায় না ছেড়ে হৃত ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য আঁকুপাঁকু করে। বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী না ছাড়ার বাজারি উত্তরাধিকার ছিন্ন করে অতুল্য ঘোষ নতুন ঘরানার পত্তন করলেন—এটাই নতুনত্ব। চালু ভাবমূর্তি ভেঙেচুরে নতুন ছকে গ্রাহক পরিষেবা দিতে তৎপর হন। বৃহৎ পরিমণ্ডল থেকে সন্ন্যাস নিয়ে ছোট পরিমণ্ডল, যে পরিমণ্ডল তাঁকে ডালা-কুলো নিয়ে বরণ করতে উন্মুখ ছিল না—সাহসী পদক্ষেপে তিনি এক নতুন উত্তরাধিকারের গর্ভ সঞ্চার করেন। তিনি মনে করতেন নির্দিষ্ট কোনো মত দল বা ব্যক্তি চিরবন্ধু বা চিরনির্ভর হতে পারে না। তেমন হওয়া মানে