ভূমিকা আমাদের বর্তমান সভ্যতা পুরোপুরি বিজ্ঞাননির্ভর। বিজ্ঞান ছাড়া আমরা যেন এক মুহূর্ত চলতে পারি না। আমাদের চারপাশের একবারে চোখ বুলিয়ে দেখলেই বোঝা যায় বিজ্ঞান আমাদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে ছড়িয়ে আছে। সভ্যতার একেবারে শুরু থেকে দেখলে দেখা যাবে বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির সাথে সাথে আমাদের সভ্যতার উন্নতি ঘটেছে। মূলত গত ২০০ বছরের ইতিহাস ঘাটলেই বোঝা যাবে বিজ্ঞান আমাদেরকে কেমন আধুনিক সভ্য জীবন দান করেছে। সুতরাং এই বিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের আরও জানতে হবে, বুঝতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে এই মহাবিশ্বের অনেক তথ্যই আমাদের জানা। তবুও জানার উৎসের সীমাবদ্ধতার কারণেই সবকিছু আমরা এখনও জানতে পারি নি। এই তথ্যপ্রযুক্তির সুবশাল মহাযজ্ঞেও আমরা তাই পিছিয়ে রয়েছি অনেকখানি। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমাদের জানার উৎসও সীমিত। অথচ, জানার শেষ নেই। বিশেষ করে আজ যারা কিশোর-কিশোরী, তাদের জানার আগ্রহ সীমাহীন। কিন্তু দেখা গেছে তাদের সব কৌতূহলী প্রশ্নের উত্তরও আমাদের অজানা। তাদের জানার সুযোগ দিতে হবে। এই বইতে আমি বিভাগভিত্তিক কিছু বিষয় সাজিয়েছি এমনভাবে-যাতে আমাদের মধ্যে যাদের সবেমাত্র জ্ঞানের স্ফুরণ ঘটাতে শুরু করেছে তারা এই বিষয়গুলো জানার জন্য আরও আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। আর সেই সাথে জানতে পারবে বিজ্ঞান বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর। যেগুলো প্রতিনিয়ত তাদের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি করে। আশা করা যায় বইটি ছোট হলেও স্বল্প পরিসরে তাদের এই কৌতূহল কিছুটা হলেও মেটাতে পারবে। শুধু ছোটরাই নয় পাশাপাশি বড়োরাও বইটি থেকে তাঁদের অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা তাঁদের জানার পরিধি বাড়িয়ে ছোটদের জ্ঞানবিকাশে সহায়তা করতে পারবে। বইটি লেখার সময় ইন্টারনেটের বিভিন্ন বাংলা ভাষার ওয়েব সাইট থেকে সহায়তা নেয়া হয়েছে। পরিশেষে বইটি যাদের জন্য লিখিত তারা তাদের অনেক অজানা প্রশ্রের উত্তর এটা থেকে খুঁজে পেলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। জালাল উদ্দিন আহমেদ