"আত্ম-উন্নয়ন" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আত্ম-উন্নয়ন করতে হলে নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে আপনার। আর সেটা করতে হলে জানতে হবে মনটা কি, কতটা এর ক্ষমতা। মােটামুটিভাবে সবাই জানি মনের অনেক ক্ষমতা। তার অনেক প্রমাণও পেয়েছি আমরা বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানে মানুষ অনেক এগিয়ে গেলেও আসলে মন নিয়ে গবেষণা তেমন হয়নি বললেই চলে। আমরা শুনেছি, অনেক দেখেওছি, এখানে বসে চোখ বুজে আউলিয়া-দরবেশ ঠিক ঠিক বলে দিচ্ছেন বহুদূরে এই সময়ে কি ঘটছে; বলে দিচ্ছেন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এসে হাজির হবে এমন একজন যাকে কেউ আশা করছে না; বলে দিচ্ছেন অমুক জায়গায় গিয়ে অমুকের স্যুটকেস খুলে দেখাে তােমার হারানাে জিনিস রয়েছে ওর মধ্যে। শুধু বলে দেয়াই নয়, এখানে বসে তিনি সারিয়ে দিচ্ছেন দূরের কারও রােগ বালাই। সত্যিই সে ভালাে হয়ে উঠছে। এসব কি করে করছেন তিনি? অলৌকিক কোনাে ক্ষমতার বলে? নাকি স্রেফ আন্দাজ, বা ঝড়ে বক? যা-ই হােক, একটা ব্যাপার মানতেই হবে, ক্ষমতাটা জাগতিক হােক বা ঐশ্বরিক হােক, ব্যাপারগুলাে ঘটছে, এবং এসব ঘটাচ্ছেন তিনি তাঁর মনের সাহায্যে। এই ক্ষমতাটা অর্জন করতে পারলে কেমন হয়? চমৎকার হয় না?
(জন্মঃ জুলাই ১৯, ১৯৩৬, ঢাকা) একজন বাংলাদেশী লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, এবং জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব নাম ব্যবহার করে থাকেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। তাঁরা ছিলেন ৪ ভাই, ৭ বোন । তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া পেয়েছেন সিনেমা পত্রিকা ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার।