সুবিমল মিশ্রর জন্ম ১৯৪৩-এ, সার্টিফিকেট অনুযায়ী; প্রায় সাড়ে চার দশকের লেখক জীবন। তাঁর নাম উঠলেই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী এই ক্লিসে শব্দটি উঠে আসে, প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠতে চায়, তাই তিনি তারও বিরোধিতা করেন। তিনি সম্পূর্ণ ভাবে লিটল ম্যাগাজিনের লেখক, লিটল ম্যাগাজিন ছাড়া একটিও অক্ষর লেখেননি সমগ্র লেখক-জীবনে। কেউ কেউ বলেন তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি আলাদা জঁ-র প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, প্ৰয়োগ ঘটাতে পেরেছেন, যা তাঁর লেখালেখিকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। সার্বিক এক বিরোধিতায় থেকে তিনি বলেন, আমি নতুন ভাবে ভাবার চেষ্টা করবো অথচ লোকে আমাকে নিয়ে হৈহৈ করবে দুটো জিনিস এক সংগে হয় না, হতে পারে না। যদি রাতারাতি বিপুল পরিচিতি পাই, জনপ্রিয়তা, তা হলে ভাববো আমি যা করছি তা ততো নতুন নয়। “ব লা র ভং গি টা ই য খ ন বি ষ য় ব স্তু হ য়ে ও ঠে’: তাঁর একটি প্রিয় উচ্চারণ, অবশ্যই গোদার-এর কাছে ঋণী থেকে। আরও বলেন, প্রচল কোনও একমাত্রিক অভিধায় বিশ্বাস করেন না তিনি, ‘যা কে ধ রে নে ও য়া হ য়ে ছে ঠি ক ব লে তা কে ই বে শি ক রে প রীক্ষা ক রা দ র কা র।’ এই সংকলনে তাঁর সত্তর দশকে প্রকাশিত প্রথম তিনটে গল্পগ্রন্থ সংকলিত হল। সুবিমল মিশ্র সম্প্রতি তাঁর নাম ও পদবি একটি শব্দে লিখছেন, তাই প্রচ্ছদপটে ‘সুবিমলমিশ্র’ লেখা হল ৷ প্রচ্ছদপট কৃষ্ণেন্দু চাকী