ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাঙ্গালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশকে অর্জন করতে যুদ্ধ করেছিলো কয়েক কোটি বাঙ্গালি। যাদের কিছু অংশ গিয়েছিলেন সীমান্তের ওপারে, কিছু অংশ ছিলেন এপারে। কারো হাতে ছিলো অস্ত্র, কারো বুকে ছিলো সাহস, কারো চেতনায় ছিলো সংকল্প।
যেই সংকল্পে নয় মাসের সংগ্রামে ছিনিয়ে এনেছিলো একটি লাল সবুজের পতাকা।
বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, চেনা জানা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের যুদ্ধকালিন হৃদয় স্পর্ষ করা কাহিনী নিয়ে রচিত উপন্যাস চোখ ভেজাবে পাঠককে। আলোড়িত করবে প্রতিটি বাঙ্গালিকে।
ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি মানুষের একটি দেশে হঠাৎ করে শুরু হয়েছিল অমানবিক নির্মম আক্রমন। পাশবিক নির্যাতন এবং সোনার মাটিকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে তামা করার ষড়যন্ত্র। কিন্তু বাংলা মায়ের সাহসী সন্তানেরা ৯ মাসের যুদ্ধে থাকিয়ে দিয়েছে সকল আক্রমন। অর্জন করে নিয়েছে একটি দেশ এবং সেই দেশের স্বাধীন পতাকা।
আমরা এখন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন ও গর্বিত নাগরিক। আমরা যারা যুদ্ধ দেখেছি, যুদ্ধ করেছি তাদের সৌভৈাগ্য আমরা ৭১ এর অংশীদার। একটা গৌরবময় ইতিহাসকে হৃদয়ে ধারন করে এগিয়ে চলেছি প্রতিটি পদক্ষেপ।
একজন নাট্যকার হিসেবে আমার গর্ব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও শক্তি যোগাতে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের নাটক লিখেছিলাম। যার নাম ‘রক্ত শপথ’। ডাঃ আবদুল হামিদ এর পরিচালনায় নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে বিক্রমপুরের বিভিন্ন জায়গায়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম এই নাটকটি মঞ্চায়িত হয় ১৯৭২ সালের ২১শে ফেব্রয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়।
পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধকে প্রেক্ষাপট করে চলচ্চিত্র ‘কলমীলতা’, প্রথম প্যাকেজ নাটক ‘কোথায় সে জন’ সহ যখন যেখঅনে সুযোগ এসেছে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে এনেছি আমি কাগজে, মগজে, ছোট পর্দায় ও বড় পর্যায়। চিত্র নায়ক সোহেল রানার প্রথম অভিনীত টিভি নাটক ‘আবার যোদ্ধা হবো’ ২০১২ সালের ২১ মার্চ এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়। যে নাটকের শেষ দৃশ্যে সোহেল রানা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে ভাষন দিয়েছেন, যে বক্তব্য রেখেছেন তা যেন আজকের শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ারে উচ্চারিত মহা বিপ্লবের একটি ক্ষুদ্র পূর্বাভাস।
৭১’রে যেভাবে জেগে উঠেছিল এই বাংলার মাটি ও জনগণ, একই ভাবে জেগে উঠেছে ২০১৩ সালের এই ভাষার মাসে। আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে, শক্তি দিয়ে, স্বপ্ন দিয়ে, প্রত্যাশা দিয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরো গল্প, আরো নাটক, আলো চলচ্চিত্র রচনা ও নির্মাণের প্রত্যয়ে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো এই উপন্যাস।