বর্তমান পেক্ষাপটে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও নাগরিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত এক-দেড় বছরে দেশের পত্রপত্রিকায় আমার যেসব লেখা ছাপা হয়েছে তা নিয়ে এ বইটি। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সোনার মানুষ দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে। যে বাংলা হবে, কবি গুরুর সোনার বাংলা নজরুলের বাংলাদেশ জীবনানন্ধের রুপশী বাংলা রপের যার নাইকো শেষ। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের চেতনা নিয়েই রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে বইটিতে। আগরতলা বাংলা ও বাঙালির অতীত এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা আমাদের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ভারতীয় ঠিকানা। আগরতলা, এক অর্থে ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অলিখিত রাজধানী। দেশত্যাগী শরনার্থী বাঙালিদের, বিদ্রোহী ইপিআর, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রথম আশ্রয়স্থল ছিল আগরতলা। বাঙালির জাতীয়বাদী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা হয়েছিলো তথাকথিত ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’। এই মামলাকে কেন্দ্র করেই ফাঁসিতে ঝোলাবার চেষ্টা হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, সেই আগরতলাই মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ডেটলাইন । বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে আগরতলা ও মুক্তিযুদ্ধের কিছু ঘটনা। বইটিতে জনসংখ্যা সমস্যা সম্পর্কে একটি লেখা স্থান পেয়েছে। আয়তনে বাংলাদেশ নিতান্তই ক্ষুদ্র দেশ। কিন্তু জনসংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষ সাতটি দেশের একটি। বিদ্যমান সংঘাতের রাজনীতি জাতীয় প্রত্যাশার পরিপন্থী হিসেবে বিরাজ করছে। এ থেকে রেহাই পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধান দুই রাজনীতিকের উপর। এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে বইটিতে। ঢাকা ভাগ সাম্প্রতিক সময়ের আলোচ্য একটি বিষয়। রাজধানীকে প্রশাসনিকভাবে দুই ভাগে বিভক্ত করা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল নানা বিতর্ক। এ বিষয়ে নাগরিকদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে একটি লেখা স্থান পেয়েছে এ বইটিতে। এ ছাড়াও যানজট,সড়ক দুর্ঘটনা, মধ্যপ্রাচ্যে হত্যার দায়ে ৮ বাংলাদেশি নাগরিকদের শিরñেদসহ বর্তমান সময় উপোযোগি আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে বইটিতে। Ñআর কে চৌধুরী
R K Chowdhury বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি রেজাউল করিম চৌধুরী (আর কে চৌধুরী) ১৯৪১ সালে নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল মান্নান চৌধুরী জিপিওয়াইজ এস্টেটের জমিদার ছিলেন। আর কে চৌধুরীর সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: চেয়ারম্যান, আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আর কে চৌধুরী হাই স্কুল (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী ইউসেফ স্কুল (পোস্তগোলা), আর কে চৌধুরী হাসপাতাল, আর কে চৌধুরী কলেজ ও আর কে চৌধুরী দুস্থ মহিলা সেবা কেন্দ্র (জুরাইন)। প্রতিষ্ঠাতা আলোকবালী আব্দুল মান্নান চৌধুরী হাই স্কুল, আর কে চৌধুরী হাসপাতাল নরসিংদী, সবুজ বিদ্যাপীঠ ও ভাষা প্রদীপ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: প্রাক্তন জি এস কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ), প্রাক্তন কমিশনার যাত্ৰাবাড়ী ও ধানমণ্ডি থানা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সময় আওয়ামী লীগের ট্রেজারার, প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ভাইস চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সদস্য কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, এবিসিসিআই, প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফেকচারার এসোসিয়েশন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আলোকবালী ইউনিয়ন, নরসিংদী থানা কাউন্সিল, ঢাকা সিটি কপোরেশন প্রানিং ডেভেলপমেন্ট উপ কমিটি, ডিআইটি (বর্তমানে রাজউক)। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ : ১. স্মৃতির পাতায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ২. বঙ্গ বাংলা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ৩. একান্ন থেকে একাত্তর ৪: বধ্যভূমির বিছিন্ন স্মৃতি ৫. একাত্তরের ডায়েরী ৬. দৃষ্টিপাত ৭. সময়চিত্র ৮. সংলাপ ৯. সময়কথন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২ ও ৩ সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।