কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. শচীন দাশ-এর লেখালেখির শুরু বিগত শতাব্দীর সাত-এর দশকে। সেই উনিশ শশা তিয়াত্তরের গােড়ায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় অগ্রণী কথাকার বিমল মিত্র সম্পাদিত ‘কালি ও কলম সাহিত্য পত্রিকায়। প্রথম পুরস্কৃত গল্প ‘চোখ চোখ ভারতীয় কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়। এখন পর্যন্ত শচীনের প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা প্রায় ছশাে। প্রকাশিত হয় ‘দেশ’, ‘অমৃত’, ‘যুগান্তর’, ‘পরিচয়, প্রমা', বিভাব’, ‘সত্তরদশক’, ‘অনুষ্টুপ, নন্দন', গল্পগুচছ’ থেকে ‘আজকাল’, ‘মলার’, ‘একুশ শতক, ও ‘নীললােহিত হয়ে আমার সময়, ঢাকার। দৈনিক যুগান্তর ও ঢাকার ‘কালি ও কলম' থেকে পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য ছােটবড় পত্র-পত্রিকায়। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ এখন পর্যন্ত ১০টি। কলকাতার। দিকে রাস্তা তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এছাড়া লখিন্দর, ‘মধ্যরাতের কাব্য’, ‘বাদাবনের গল্প’, ‘নির্বাচিত কড়ি’ ‘পঞ্চাশটি গল্প’, ‘সাহিত্যের সেরা গল্প’, ‘দুই জীবনের গল্প ইত্যাদি। উল্লেখযােগ্য উপন্যাস ‘যুদ্ধযাত্রা’, ‘নদী। তরঙ্গের আয়না', ‘উদ্বাস্তু নগরীর চাঁদ’, ‘বর্ডার’, ‘নুন। দরিয়া’, ‘জল জঙ্গলের রয়ানি’, ‘অন্ধ নদীর উপাখ্যান', ‘মানচিত্র বদলে যায় ইত্যাদি। পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রবর্তিত কথা। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার’, ‘শৈব ভারতী পুরস্কার ও নানাবিদ সম্মাননা। সুন্দরবন নিয়ে তাঁর একমাত্র বইটি “জল, জঙ্গল ও জনজীবনে সুন্দরবন’ এখনও অনেকের কাজের সঙ্গী।