রায় পরিবারে সম্পত্তি বিভাজন স্ত্রী-পুত্র পরিজন নিয়ে লাঙ্গুলপাড়ায় নতুন বাড়ীতে রামকান্ত রায় দিন কাটাচ্ছিলেন, এমন সময়ে একটা ঘটনা ঘটল। ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর একটি দানপত্র দ্বারা নিজের জন্য কিছু অংশ রেখে, রামকান্ত বাকি সমস্ত সম্পত্তি পুত্রদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলেন, জগমোহন, রামমোহন ও রামলোচন তিনজনই এই দলিলে স্বীকার পত্র লিখে দিলেন এবং উহা খানাকুল কৃষ্ণনগরের কাজীর কাছে রেজিস্ট্রী করে নেওয়া হল । কোন পুত্র কোন সম্পত্তি পাবেন, তাঁর তালিকা করে দিয়ে রামকান্ত লিখলেন যে, তাঁর তিন পুত্র এই ভাগ অনুযায়ী বসতবাটি ও জমিজমা ভোগ করবেন এবং কাহারও সম্পত্তির ওপর অন্য কাহারও কোন প্রকার দাবি দাওয়া থাকবে না। তিন পুত্রের কাউকেই নগদ টাকা দেওয়া হল না । বস্ত্র, অলঙ্কার ইত্যাদি যাকে যা দেওয়া হয়েছে তাঁরই থাকবে। পরে যদি দেওয়া হয়, তাহলেও এই ব্যবস্থা হবে। তিন পুত্রের অংশ ছাড়া তাঁর স্বপার্জিত সম্পত্তির সামান্য অংশ ও বর্দ্ধমানের বসতবাটি তাঁর নিজের রইল। তাঁর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দেনা বা উপার্জনের সহিত তাঁর পুত্রদের এবং পুত্রদের আয়ের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক রইল না । পৈতৃক বিগ্রহের সেবা ও পূজার ভার পুত্রের সমান ভাগে নেবেন কিন্তু তাঁহার নিজের স্থাপিত বিগ্রহের জন্য তিনি নিজে দায়ী। জগমোহন ও রামমোহন তাঁহাদের মাতামহদত্ত জমিজমা পাবেন। রামলোচন তাঁর মাতামহদত্ত জমি পাবে। ভট্টাচার্যের ন্যা (তারিণী দেবী) নিজ পুত্রদের নামে যে জমি পুস্করিণী ক্রয় করেছেন, তাহা তাঁকে দেওয়া হল এবং রামশঙ্কর রায়ের কন্যা (রামমণি দেবী) যে সব জমি কিনেছেন তা তাঁকে দেওয়া হল। তালুক হরিরামপুর সম্পূর্ণ জগমোহন রায়ের। উহার সহিত রামমোহন বা রামলোচনের কোন সংস্রব নাই ।