হাঁসুলী বাঁকের উপকথা: পাঠ ও পর্যালোচনা (হার্ডকভার)

গত ৫০-৫৫ বছরের মধ্যে এমন কতকগুলি বাঙলা উপন্যাস লেখা হয়েছে, যাদের মধ্যে সামাজিক রূপান্তরের চিহ্ন কোথাও আলতোভাবে, কোথাও বা বেশ গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। কারো হাতে ব্যাপারটা লিখতে লিখতেই এসে গিয়ে থাকবে, আবার কেউ কেউ যে বেশ সচেতনভাবেই ব্যাপারটাকে টেনে এনেছেন, সে-ও বোঝা যায়। পথিকৃৎ সম্ভবত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর "পথের পাঁচালী” (১৩৩৬) উপন্যাসে প্রথম এরোপ্লেন উড়তে দেখা গিয়েছিল নিশ্চিন্দপুরের আকাশে। সেখানকার নিরুৎসক অধিবাসীরা বড়ো একটা আগ্রহ দেখায়নি ব্যাপারটায়, আর উপন্যাসেও এ-ঘটনার বিশেষ কোনো গুরুত্ব নেই।
কুড়ি বছর পরে বিভূতিভূষণ তাঁর "ইছামতী” উপন্যাসে সামাজিক ভাঙাগড়াকে বেশ দক্ষ হাতে আঁকলেও, তার মধ্য থেকে বিভূতিভূষণের সমাজ-জিজ্ঞাসার কোনো পরিচয় আমরা পাই না। সমাজ-সচেতন লেখক হিসেবে মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা স্বীকৃতি আছে। তাঁর "পুতুলনাচের ইতিকথা” এবং “পদ্মানদীর মাঝি”-দুটি উপন্যাসই প্রকাশিত হয় ১৩৪৩-এ। কিন্তু শশী যেমন গোপালের হাতের অর্বাচীন ক্রীড়নক, কুবেরও তেমনি হোসেন মিয়া-র হাতের পুতুল।