"শেষ চিঠি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: সৈয়দ হাসিনুর রহমান লিখছেন গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে। তাঁর অসাধারণ গদ্যের শক্তিই তাঁকে স্বতন্ত্র করে তােলে। প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাস সব ক্ষেত্রেই বিশেষত্ব নির্মাণ করেছেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু নির্বাচন, লেখার সাবলীলতায়, বাচন সৃষ্টিতে তিনি অনন্য। ‘শেষ চিঠি' উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। সে সময় পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। অত্যন্ত পাঠকনন্দিত উপন্যাস বলে সমগ্র প্রকাশন থেকে পুনরায় প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হলাে। বাংলা সাহিত্যে সফল ও কালজয়ী উপন্যাসগুলির অধিকাংশই বিয়ােগান্তক-এ উপন্যাসের কাহিনিও সে পথেই পরিসমাপ্তি। এ উপন্যাসে পলাশ ও শিমু নামের দুটি চরিত্র আপনাকে হু হু বাতাসের টানে টেনে নিয়ে যাবে মায়াবী স্বপ্নময়তার এক খেলাঘরে । কিন্তু মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ওত পেতে থাকা পাথর সময় কীভাবে নির্মল ভালােবাসাকে, জীবনের সৃষ্ট মধুরতাকে সীমাবদ্ধ করে দেয় বাস্তবতা, তারই এক আখ্যান এ কাহিনিজুড়ে। মানুষের জীবনের চিরায়ত দ্বন্দ্বময়তাকে সুনিপুণ অথচ নতুনভাবে চিত্রায়িত করেছেন লেখক। আমাদের সামাজিক শিক্ষাকে তিনি যেন আরাে একধাপ এগিয়ে নিয়েছেন কবি কীটস-এর উপলব্ধিকে সঙ্গে নিয়ে ‘হে নির্জনতা! যদি তােমার সাথে আমার এক হতে হয়/ ইহা যেন না হয় কোনাে অন্ধকার ঘরের রাশিকৃত বিশৃঙ্খলার ভেতর…