ফ্ল্যাপে লিখা কথা জীবন। ছোট এই শব্ধটার ব্যাপকতা বিশাল। আমরা জীবনের মান খুঁজি সারাজীবন। হিসেব মেলাতে চাই আমাদের চাওয়া-পাওয়ার । এই উপন্যাসের চরিত্রগুলোও তাই। কেউ একটু বেশি চায়, কেউ অল্পতেই সন্তুষ্ট। আব্দুর রহিম জীবনে খুব বেশি চাননি। তবু তিনি স্বস্তিতে থাকতে পারেন না। আলেয়া এরকটু স্বাচ্ছন্দ্য চেয়েছেন, সেটা পেতে তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে সংকোচ করেননি।
পরবর্তী প্রজন্ম কী ভাবছে? তাদের চাওয়া কি আগের প্রজন্মের চেয়ে ভিন্ন? আমরা এখানে দেখতে পাবো খুব স্বাভাবিক পারিবারিক কিছু দ্বন্দ্বের চিত্র। লোপা, আকাশের তরুণী স্ত্রী কোনো নিজেকে সুখী ভাবতে পারে না? মুহিত দীর্ঘ বেকারত্ব শেষে অন্যরকম আনন্দ নিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। তার জীবনে ভালোবাসা এসেছে কিন্তু মুহিত বিভ্রান্ত। সে কি পারবে বিভ্রান্তি কাটিয়ে উঠতে? ভালোবাসায় বিভ্রান্তি এক অন্যরকম সমস্যায় ফেলে দেয় মুহিতকে। মুশফিক, শিউলি, আবিদ সবাই আছে আব্দুর রহিমের পাশে। আব্দুর রহিম দখিনের একটা জানালা খুঁজেন মনে মনে। তিনি আরো চার তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভালো থাকুক যার যারা মতো। আলেয়া দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে বেশ ছিলেন। হঠাৎ কিছু জটিলতা সামনে এসে দাঁড়ালো। কী সমাধান এই জটিলতার? যদিও সব সমস্যার সমাধান কারো জীবনেই হয় না। তবু চেষ্টা করে সবাই যার যার সাধ্যমতো।
মির্জা ফারহানা সিরাজ জন্ম : ৭ অক্টোবর ১৯৮০, মৌলভীবাজার। বাবা : মির্জা সিরাজউদ্দীন বেগ। বিশিষ্ট আইনজীবী, প্রাক্তন পাবলিক প্রসিকিউটার, মৌলভীবাজার। আইন ব্যবসার পাশাপাশি তিনি জীবনঘনিষ্ঠ সাহিত্যচর্চায়ও নিয়ােজিত। মা: রহিমুন্নাহার চৌধুরী মিনা। লেখাপড়া : মৌলভীবাজার আলী আমজাদ গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এস.এস.সি এবং মৌলভীবাজার গভর্ণমেন্ট গার্লস কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচ.এস.সি । ২০০০ সালে স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত থাকাকালীন বৈবাহিকসূত্রে আমেরিকায় প্রবাসজীবনের শুরু। লেখিকার নানা বিশিষ্ট লােকসাহিত্য-সংগ্রাহক ও কবি মরহুম চৌধুরী গােলাম আকবর সাহিত্যভূষণ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ফোকলর সােসাইটি কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে বিশ্বসাহিত্যে বাংলাদেশের লােকসাহিত্যকে পরিচিত করতে অবদান রাখেন। তিন বােন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় মির্জা ফারহানা সিরাজের সাহিত্যচর্চার শুরু স্কুলজীবন থেকেই। কলেজে পড়াকালীন সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতায় তার বেশকিছু ছােটগল্প প্রকাশিত হয়। বর্তমানে নিউইয়র্কের স্থানীয় বাংলা পত্রিকাগুলােতে নিয়মিত গল্প ও কবিতা লিখছেন। ২০০৮ সালে ঢাকায় একুশে বইমেলায় তার প্রথম উপন্যাস ‘মেয়েটি ঘরে ফেরেনি’ এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আঁচল পেতে রেখাে' প্রকাশিত হয়। প্রবাসজীবনের নানা বস্ততার মাঝে থেকেও নবীন এই সাহিত্যিক তার সাহিত্যচর্চায় অবিচল থাকার আশা করেন।