কনসেনট্রেশন ক্যাম্প যার জন্য আর একটু হলেই একেবারে ভবনদীর ওপারে যেতে হত। নইলে অন্য সময় ডলম্যানের সরলতা চালাকির নামান্তর। এতদূর থেকে ধোঁয়াটা ঠিক বোঝা যায় না। মনে হয় রান্নাঘরের আগুন। জানালার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসছে। কিন্তু একদিন আসবে, যখন সেই জানালার কপাট দুটো খুলে যাবে। আর আগুনের লেলিহান শিখা জিভ দিয়ে টেনে নেবে আজকের যারা দর্শক, তাদের। এ যেন চিমনির পাশ দিয়ে উড়তে উড়তে শ্যামাপোকার হঠাৎ আগুনের ঝলকের মধ্যে মিশে যাওয়া। দীর্ঘগাছের কালো কালো ছায়াগুলো প্রলম্ব হয়ে মাটিতে পড়ে। ফেডারের মনে হয়, ছায়াগুলো যেন জীবন্ত মানুষের প্রেতাত্মা। হিমালারের দুষ্কর্মের সচেতন প্রহরী। এমনকী হিমলারের মতো পশুও নাকি চুল্লিগুলোকে দেখে অসুস্থ বোধ করেছিল। কিন্তু ক্যাম্প কমান্ডার হোয়েস্, পুরনো খুনির কোনো চিত্তবৈকল্য ঘটেনি। বরং হোয়েসের সবচেয়ে দুশ্চিন্তা, যত তাড়াতাড়ি মানুষগুলোকে মারা দরকার, চুল্লিগুলোর সে ক্ষমতা নেই। দৈনিক চারটে ট্রেন ভর্তি বন্দী ক্যাম্পে এলেও, চুল্লিগুলোর ক্ষমতা দু' ট্রেন বন্দীর বেশি নয়। ক্রমে ক্রমেই বন্দীর স্তূপ জমা হচ্ছিল।