ধর্মেরকল বিতর্কিত শিল্পী ও চিত্রকর বিশ্বরূপ । ঘোষালের দ্বিতীয়া স্ত্রীর মৃত্যুকে আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক অসুস্থতার পরিণতি বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে বাদ সাধলেন স্থানীয় চিকিৎসক। পারিবারিক পরিচয়ের সূত্রেই জড়িয়ে পড়ল সত্যসন্ধানী তথা চিকিৎসক সোমদেব ওরফে বুড়ো এবং তস্য সহকারী ও সাংবাদিক মানিক। সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে হত্যার পক্ষে। জানা যায় অতিরিক্ত ইনস্যুলিনের বিষক্রিয়ায় মারা যান বিশ্বরূপের দ্বিতীয়া স্ত্রী। শুরু হয় সত্যানুসন্ধান । অতঃপর বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে লোভ এবং মূল্যবোধহীনতায়, সুচতুর পরিকল্পনায় কিভাবে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল তারই এক নিবিড় কাহিনি ‘ধর্মের কল’ উপন্যাসে। একইসঙ্গে রহস্য উদ্ঘাটন ও সাহিত্য পাঠের আকর্ষণে টানটান নবকুমার বসুর এই সাম্প্রতিকতম উপন্যাস। দুইয়ে পক্ষ এই রহস্যোপন্যাসের পটভূমি লন্ডনের শহরতলি । সামার হলিডে করতে গিয়ে আকস্মিকভাবে বুড়ো-মানিক অনিবার্যভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে একটি পোষা কুকুরের অস্বাভাবিক আচরণের ব্যাপারে। কৌতুহলবশত খোঁজ করতে গিয়ে আবিস্কৃত হয় জনৈক স্থানীয় প্রতিবেশিনীর মৃতদেহ। বুড়োর পরিচয় জেনে ভদ্রমহিলার স্বামী ওকেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন । দায়ে পড়ে বুড়োকে তা গ্রহণ করতেও হয়। কিন্তু বুড়ো কি সুবিচার করতে পারল !
Nabokumar Bosu (১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৯) একজন বাঙালি সাহিত্যিক এবং ডাক্তার। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর পুত্র। অভাবের মধ্যে তাঁর বাল্যকাল কাটে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমএস উত্তীর্ণ হওয়ার পর শল্যচিকিৎসক হিসাবে পেশা শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডে প্রবাসী হন। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর লেখা ছোটগল্প দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর পিতা সমরেশ বসু এবং মাতা গৌরী বসুর জীবনের উপর ভিত্তি করে তাঁর 'চিরসখা' উপন্যাসটি দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।