“গণহত্যা’৭১” বই এর ফ্ল্যাপঃ শতাব্দীর পর শতাব্দী যে গণহত্যা চলেছে তার মধ্যে বাংলাদেশের গণহত্যার পরিধি ও মাত্রিকতা নজিরবিহীন, এত হত্যাকান্ড যা ভাষায় রূপ দেয়া যাবে না। কেমন করে, কে লিখবে, সেই নিৰ্মম ট্র্যাজিক-কাহিনী! বাংলাদেশে গণহত্যার লক্ষ-কোটি ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তা না হলে গণহত্যার নৃশংস অধ্যায় অন্ধকারে থেকে যাবে। এই বিশাল বেদনার ইতিহাস কী করে লেখা যাবে? কেমন করে লিখবে? ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকবে? এই ব্যর্থতা আমরা কী মেনে নেবা? যেখানে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজ বলতে চাইছে, বাংলাদেশে কোনা গণহত্যা তারা করেনি। তারপরও কি আমরা নিশ্চুপ থাকবো? বইটির অপর্যাপ্ত দিক হলো বাংলাদেশের নরঘাতকদের কথা এখানে সচেতনভাবেই বাদ রেখেছি। গণহত্যাজনিত যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। ট্রাইব্যুনাল আরো বাড়াতে হবে। নইলে বিচারের কাজ অসমাপ্ত থাকবে। গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ কোনোদিন তামাদি হয়না। হবেও না। বিচারের আওতায় তাদের আনতে হবে। দেশের স্বার্থে। জাতির স্বার্থে। মানব-মুক্তির কল্যাণে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গণহত্যা ৭১ রচিত-গ্রথিত “গণহত্যা ‘৭১” বই এর সূচিপত্রঃ * গণহত্যা: কোনদিন তামাদি হয় না-১৩ * নরকের দরজা খুলে দেয়া হলো-২৭ * আমি অশ্রষ্ঠ সম্বরণ করতে পারি না-৫৯ * ন্যায় বিচার বুটের তলায় আটকে থাকে না-৬৭ * ইতিহাসে যাদের নাম লেখা নেই-৯৬ * ধর্ষণ করে নতুন জাতির সৃষ্টি- ১১০ * কেউ স্বেচ্ছায়: কেউ তোপের মুখে-১৩৮ * পরিশিষ্ট পরিশিষ্ট-১ গণহত্যার কিছু দলিল-১৪৭ * পরিশিষ্ট-২ গণহত্যা দিবস-১৫১ * পরিশিষ্ট-৩- ১৫৩ * পরিশিষ্ট-৪- ১৫৬ * পরিশিষ্ট-৫ Selective Genocide-১৬১
Professor Abu Sayed অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালীন শিক্ষক ও রাকসুর ভিপি । সত্তরের নির্বাচনে নং সেক্টরের উপদেষ্টা ও ক্যাম্প ইনচার্জ। গণপরিষদে বাহাত্তরের খসড়া সংবিধান সংরচনা কমিটির অন্যতম সদস্য। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক পাবনা জেলা গভর্ণর ' ডেজিগনেট । সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া জাতীয় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অভিজ্ঞতাঋদ্ধ। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ফ্যাক্টস্ এন্ড ডকুমেন্টস: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, মেঘের আড়ালে সূৰ্য, ছোটদের বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব, আঘোষিত যুদ্ধের ব্ল-প্রিন্ট, ব্রুটাল ক্রাইমস্, বাংলাদেশের স্বাধীনতা: যুদ্ধের আড়ালে যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ: সিক্রেট ডিপ্লোম্যাসি, মুক্তিযুদ্ধ: উপেক্ষিত গেরিলা, জেনারেল জিয়ার রাজত্ব, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিত ও গোলাম আযম, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঐতিহাসিক রায়, বাংলাদেশের গেরিলা যুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ থ্রেট অব ওয়ার, একাত্তরে বন্দী মুজিব: পাকিস্তানের মৃত্যু যন্ত্রণা, সমাজ বদলে বঙ্গবন্ধুর ব্ল-প্রিন্ট, মুক্তিযুদ্ধের দলিল লণ্ডভণ্ড এবং অতঃপর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা: কুটনৈতিক যুদ্ধ ইত্যাদি।