বনের সহস্র চোখ, সহস্র কান। কেউ না কেউ গোয়েন্দার মতো লক্ষ্য করছে নয়তো সতর্ক কান পেতে আছে। আত্মগোপন করবার উপায় আছে নাকি ! আসুন, রাতের অন্ধকারেই আমরা যাত্রা করি । বনমোহিনীর রহস্য উদ্ঘাটন করতে হলে রাত্রিই প্রশস্ত সময়। দিন যদি গদ্যময় হয়, তাহলে অরণ্যের রাত্রি যেন হেঁয়ালী-ভরা এক দুর্বোধ্য কবিতা ! অবশ্য আপনি যদি অরণ্য-প্রেমিক কিম্বা পক্ষীবিদ অথবা প্রকৃতিবিদ হন, যদি বনের ফুল-পাখি-প্রজাপতি আর উদ্ভিদ-তত্ত্ব বা গাছ-গাছালি অথবা দুর্লভ লতা- গুল্ম নিয়ে গবেষণা করতে ভালবাসেন, তাহলে একটি উজ্জ্বলতম দিন বেছে নিতে হবে আপনাকে। প্রকৃতির রম্য-কাননে হরেক্-রকম পাখির সুরেলা কলকণ্ঠ, প্রজাপতির নয়নভোলানো রং-বাহার আর আশ্চর্য সুন্দর যত ফুল ফোটে— যাদের সৌরভ ও রঙের বাহার লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রকৃতিকে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন সাজে সাজায়, সুরভিত করে! পাখির ডাকে সাড়াজাগানো সেই বিচিত্র অরণ্য প্রভাতের প্রথম সূর্যালোকে আপনার মুগ্ধ অনুসন্ধিৎসা মন কেড়ে নেবে বিস্ময়ের আর সীমা থাকবে না। এমন আশ্চর্য-বোধ জীবনে আর হয়নি, এ- প্রত্যয়. আপনার উপলব্ধিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।