প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস, প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং
“হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং” বইটি কাদের জন্য যারা ভয়ের কারণে প্রোগ্রামিং শিখা শুরু করতেই পারে না। প্রোগ্রামিং কঠিন; সায়ন্সের স্টুডেন্ট বা ম্যাথে ভালো না হলে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে না মনে করে মুখ লুকিয়ে রাখে। তাদের জন্য গল্প আর মজার ছলে, চায়ের আড্ডার মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া স্মার্টফোনে কোনকিছু ইনস্টল না করেই প্রোগ্রামিং প্রাকটিস করতে পারবে। আর যারা প্রোগ্রামিং শিখে কিছুটা এগিয়ে আছে, তারাও বইটি পড়ে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো ফকফকা করে নিতে পারবে।
“হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং” বইয়ের ভূমিকা যারা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায় না, যাদেরকে ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয় না, তাদেরকে পরোক্ষভাবে গাধা, বলদ বা হাবলু হিসেবে সম্বোধন করা হয়। এসব হাবলুরা পড়ালেখার মাঠে, চাকরির হাটে কিংবা প্রেমের ঘাটে, অনেকটাই পিছিয়ে থাকে।
হাবলুরা পড়ালেখায় হাবলু হলেও, দুনিয়ার সবকিছুতে হাবলু না। ক্লাস ফাঁকি দেয়ার ফন্দি, শর্টকাটে পাশ করার পদ্ধতি, ফ্রেন্ডের পকেট থেকে টাকা খসানোর সিস্টেম, হাবলুদের চাইতে ভালো কেউ জানে না। তাদের পড়ালেখা মনে না থাকলেও, টিভি সিরিয়ালের কাহিনী, সিনেমার ডায়ালগ, ইন্টারনেটের চিপা-চাপার খবর ঠিকই মনে থাকে। এমনকি এসব জিনিসে চাল্লুদেরকেও পিছনে ফেলে দেয় তারা। সেজন্যই হাবলুদের মতো করে, চায়ের দোকানের আড্ডার ভাষা দিয়ে, প্রোগ্রামিংকে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে হাবলুরা হাবলু স্টাইলে প্রোগ্রামিং-এর মজা পেয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
ঝংকার মাহবুব, হাবলু দ্য গ্রেট www.jhankarmahbub.com
“হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং” বইয়ের সূচি * প্রোগ্রাম খায়, পরে না মাথায় দেয়? * variable বুঝলে, হবে না পয়সা ব্যয় * প্রোগ্রামিং প্র্যাকটিস করে রাত পোহালে * string এর তালে নাচবে গরু গোয়ালে
* নানীর if-else বুঝে লাফায় নানা * বিস্কুটের array খায় বিড়ালছানা * while লুপকে করলে মালিশ * for লুপ ডাকবে সালিশ
ঝংকার মাহবুবের বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি খুবই অবাক এবং আশান্বিত হয়েছি যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নানা বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেই বড় হচ্ছে। বইয়ের নামকরণ থেকে শুরু করে ব্যবহৃত ভাষা এবং ঢং সবই ভিন্ন ও আকর্ষনীয়। বইয়ের নাম ‘হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং’ হলেও লেখক সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস করেন যে আমাদের যেকোনো তরুনের জন্য প্রোগ্রামিং শেখা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। প্রতিটি অধ্যায়ই লেখকের স্বতন্ত্র ভাষায়, ঢংয়ে খুবই হাল্কা মেজাজে উপভোগ্য কৌতুকের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে যাতে করে কোন 'হাবলু'ই টের না পায় যে সে খুবই জটিল কিছু শিখতে যাচ্ছে। অনুশীলন করার জন্য বইতেই পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা দেয়া আছে।
আমি আশা করি আমাদের ছেলেমেয়েরা এই বইটি পড়ে যেমন প্রোগ্রামিংয়ের ভয় জয় করবে, ঠিক একইভাবে প্রোগ্রামিংয়ের বেশ কিছু ধারনাও আত্মস্থ করতে পারবে। আমি ঝংকার মাহবুবকে বইটি লেখার জন্য অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর বইয়ের পাঠকদের মেধার অনুশীলনের মাধ্যমে শ্রেয়তর মস্তিষ্কের অধিকারী হয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার আমন্ত্রণ রইল।
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
“প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস” বইটি কাদের জন্য যারা ভয়, কনফিউশন, ফাঁকিবাজি প্রোগ্রামিং শিখা শুরু করতে সাহস পায়না। কিংবা অল্পএকটু শিখে আর মজা পায় না। অথবা যখনই শিখতে যায়, তখনই প্রোগ্রামিংয়ের মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝতে না পেরে লেজ গুটিয়ে পালায়।। তাদেরকে মজায় মাজায়, আড্ডার ছলে প্রোগ্রামিং শিখানো হয়েছে। যাতে চাকরির বাজারে, চাল্লুদের মাজারে, অবহেলিতরা, বলদ থেকে ডাইরেক্ট বস হয়ে যেতে পারে।
প্রোগ্রামিংয়ের পঞ্চরত্ন- ভেরিয়েবল, array, if-else, লুপ, ফাংশন সম্পর্কে ধারণা থাকলে কিংবা হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং বইটি পড়া থাকলে, এই বইটা পড়তে মজা একটু বেশি লাগবে। তবে প্রোগ্রামিংয়ের পঞ্চরত্ন সম্পর্কে ভাল ধারণা না থাকলেও মজা পাওয়া যাবে।
“প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস” বইটির উদ্দেশ্য সবচেয়ে সহজ ও ছোট রাস্তা দেখিয়ে, মিনিমাম যে জিনিসগুলো শিখা দরকার সেগুলো শিখিয়ে, বিগিনার লেভেলের প্রোগ্রামার বানিয়ে, কনফিডেন্স বাড়িয়ে দেয়া। যাতে যে কেউ কিছুদিন প্রাকটিস করে ,প্রোগ্রামিংয়ের চাকরি বা ইন্টার্নের জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে, অফার লেটার পেয়ে, বলদ থেকে বস হয়ে, দেখিয়ে দিতে পারে- সব বলদের চেষ্টাতেই বসগিরি লুকিয়ে আছে।
“প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস” বইয়ের ভূমিকা এক সদস্য বিশিষ্ট বলদ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায়- বলদ তিন প্রকার। ফাঁকিবাজ বলদ, কনফিউজড বলদ ও চুপা বলদ। এসব বলদরা আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, প্রেম খোঁজা, এমনকি স্যারদের বাঁশ খাওয়ার মতো কাজগুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করার পরেও পরীক্ষার খাতায় সামান্য কয়েকটা নম্বরের জন্য এদেরকে হাবলু, বলদ বা গাধা হিসেবে সম্মোধন করা হয়।
বেশিরভাগ বলদরা বাইরে চাল্লু ভাব ধরে রাখলেও তাদের ভিতরে থাকে- না পারার ভয়, সামর্থ্য নিয়ে সংশয়, ফাঁকিবাজির আশ্রয়। এরা প্রোগ্রামার হওয়ার স্বপ্ন দেখে, রুটিন বানিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, ছোটখাটো জিনিসে আটকে গেলে হতাশার বড়ি গিলে। কেউ কেউ আবার কয়েকদিন শিখে এক প্রোগ্রামিং ল্যাগুয়েজ, কয়েকদিন পর ধরে অন্য আরেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। তাতে না শিখে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, না শিখে প্রোগ্রামিং।
তবে সব বলদই সুযোগ পেলে ছুটে যায় চা দোকানে। আড্ডা দিতে। সেজন্যই চা দোকানের আড্ডার ভাষা দিয়ে প্রোগ্রামিংকে উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইতে। যাতে বলদেরাও পুচকা লেভেলের প্রোগ্রামার হিসেবে ফুল টাইম, পার্ট-টাইম বা ইন্টার্ন এ এপ্লাই করার জন্য যে জিনিসগুলা শিখা দরকার সে জিনিসগুলা আড্ডাবাজি করতে করতে শিখে ফেলতে পারে। লুকিয়ে আছে বসগিরি সব বলদের অন্তরে ঝংকার মাহবুব, বলদ কমিটির চেয়ারম্যান www.JhankarMahbub.com
বইটি সম্পর্কে মুনির হাসান যা বললেন বিশ্বজুড়ে এখন প্রোগ্রামিং নিয়ে মাতামাতি। মনে হচ্ছে প্রোগ্রামিং ছাড়া মানব সভ্যতা আর এগুতে পারবে না। তবে, সেই প্রোগ্রামিং জানা সবাই যে প্রোগ্রামিং স্কুল থেকেই আসবে এমন কোন লক্ষণও কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। কারণ সংখ্যাটা প্রোগ্রামারের চাহিদার সংখ্যার চাইতে অনেক বড়। কাজেই আমেরিকার হোয়াইট হাউস হোক আর আমাদের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের জলিলগঞ্জ গ্রাম হোক। সব জায়গাতেই প্রোগ্রামিং নিয়ে অনেক আগ্রহ উদ্দীপনা। এই আগ্রহের জোয়ারে কী হাবলুরা বসে থাকবে? সারাজীবন ফাঁকিবাজি করে, শর্টকাট পথ ধরে বের হয়ে যাওয়ার হাবলুরা কী এখানে কোন পথ পাবে না?
হাবুল দ্য গ্রেট ঝংকার মাহবুব থাকতে সেটা কি আর হবে? কাজে প্রোগ্রামিং-এর চিপাচাপা দিয়ে বলদরা কীভাবে বস হয়ে উঠতে পারে তার জন্য ঝংকারের এই বই। এর আগের হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং বই-এ মাহবুব চেষ্টা করেছে মজা করে প্রোগ্রামিং-এর মূল বিষয়গুলো ধরিয়ে দেওয়ার। এবার আর একধাপ এগিয়ে হাবলুদের জন্য ডেটা স্ট্রাকচার, অ্যালগরিদম, অবজেক্ট, ক্লাস, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ইত্যাদির চিপাচাপার সন্ধান করেছে। এর আগে কেইবা বলেছে হাজিরা খাতাটাই একটা ডেটা স্ট্রাকচার আর কেইবা খড়ের গাঁদাতে সুঁচ খোজার চেষ্টা করেছে প্রোগ্রামিং জগতে! ঝংকারের ঢঙ্গে প্রোগ্রামিং-এর জগতে বলদ থেকে বস হয়ে ওঠার এই এক আশ্চর্য হাবলামি! প্রোগ্রামার হতে চাওয়া ফাঁকিবাজদের পড়তেই হবে! -মুনির হাসান কোর্ডিনেটর, ইয়ুথ প্রোগ্রাম, প্রথম আলো জেনারেল সেক্রেটারি, ম্যাথ অলিম্পিয়াড 'প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী' বইয়ের ভুমিকাঃ প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক জিনিসগুলা শিখলাম, দুই-একটা বইও পড়লাম। টুকটাক প্রোগ্রামিং পারি। কিন্তু এর পর কি করবো? আর কী কী জানলে একজন পরিপূর্ন প্রোগ্রামার হওয়া যাবে? কী কী করলে প্রোগ্রামিংয়ের চাকরির জন্য এপ্লাই করা যাবে? কতদিন লাগবে? আচ্ছা, গুগল মাইক্রোসফট, ফেইসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য কি কি করা লাগবে? এপ্লাই করে যাচ্ছি কিন্তু ইন্টারভিউতে কল পাচ্ছি না, কি করবো? এই প্রশ্নগুলোর যাদের মাথায় দীর্ঘদিন ধরে কুট কুট করে কামড়ে যাচ্ছে তাদের জন্য এই বই 'প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী'।
এই বইটার তিনটা উদ্দেশ্য- ১. যারা প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক জিনিসগুলো শিখার পরে কি করতে হবে জানে না, তাদেরকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়া। ২. যারা প্রোগ্রামিং শিখে চাকরি পেতে চায় তাদের কমপ্লিট একটা গাইডলাইন দেয়া। ৩. প্রোগ্রামিংয়ের ইন্টারিভিউতে যে কোম্পানি যে এঙ্গেল থেকেই প্রশ্ন করুক না কেনো, সেটার যাতে উত্তর দিতে পারার মতো করে প্রস্তুত করে নেয়া। সেটা ছোট, মাঝারি এমনকি গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুকের মতো বড় কোম্পানি হোক না কেনো।
বইটি কাদের জন্য যারা একটু-আধটু প্রোগ্রমিং জানে। বেসিক কনসেপ্টগুলো বুঝে। কমপক্ষে ভেরিয়েবল, array, লুপ, if-else এই জিনিসগুলো বুঝে। তাদের জন্য এই বইটি। যারা একদমই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কিছুই জানে না- তাদের পড়তে হালকা একটু কষ্ট হবে। তবে যেভাবে প্রোগ্রামিংয়ের জিনিসগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা পড়া চালিয়ে যেতে পারে।
আর যদি একদম পাঙ্খা স্টাইলে পড়তে চায় তাহলে- একই লেখকের 'হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং' () আগে পড়বে। তারপর 'প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস' পড়বে। তারপর প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী পড়বে। বইটির ভূমিকায় লেখক লিখেছেন হুজুগে, বাপের হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার দুর্যোগে, কিংবা গুগল, মাইক্রোসফট, ফেইসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার সুযোগে; যে যেকারনেই প্রোগ্রামিং শিখতে আগ্রহী হোক না কেনো তাকে প্রোগ্রামার হিসেবে একটু লেভেলে উঠতে হবে।
এই লেভেলটা প্রোগ্রামিংয়ের কয়েকটা বেসিক জিনিসে কিক মেরে, দু-চারবার কোডের রান বাটনে ক্লিক করে, বাকি সময় মার্বেল খেলে, কদবেল গিলে পাওয়া যায় না। বরং একটা প্রফেশনাল সফটওয়্যার বানানোর সব এরিয়া সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। প্রবলেম সলভিং, অ্যালগরিদম, টাইম কমপ্লেক্সিটি, রিকারসন, ডাটাবেজ, আর্কিটেকচার, হাবিজাবি বুঝতে হবে, ইন্টারভিউ পার হওয়ার স্পেশাল প্রিপারেশন নিতে হবে। প্রোগ্রামিংয়ের ইন্টারভিউতে যত এঙ্গেলে প্রশ্ন করতে পারে, তত এঙ্গেলে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। অর্থাৎ প্রোগ্রামিংয়ের বাপ-মা, মামা-খালু, ফুফাতো ভাই, চাচাতো বোনসহ প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামতে হবে।
এই চৌদ্দগোষ্ঠীর কথা শুনলেই যাদের গলা শুকিয়ে যায়, মাথায় ঝিম ধরে তাদের জন্যই চায়ের দোকানের গল্প, আড্ডা আর মাস্তির মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠীকে উপস্থাপন করা হয়েছে। চায়ের দোকানের আড্ডার ভাষা দিয়ে। যাতে হাবলু-বলদ মার্কা পিছিয়ে পড়া একজনের চাকরি পাওয়ার সংগ্রামের সাথে অন্যরাও শিখে শিখে প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে পারে।
বইয়ের সূচি/অধ্যায় সমূহ ভাষণের Word Count করে চাইলে ভ্যাট Duplicate Entry চিপায় গিয়ে করবে চ্যাট সিজনাল কবি String Reverse করে মারে চাপ Time Complexity দেখে কয় বাপরে বাপ দেখলে Recursive Function এর ফুলের তোড়া জাগে Fibonacci series এর মনে প্রেমের ধারা Sorted Array মার্জ করতে ধোঁয়া মারে চুঙ্গী Property ধরে সার্চ করেও খুঁজে পায়না লুঙ্গি ধরে ধরে sort করলেও খুশি হয়না ঢংঙ্গী Database তুই পালাবি কোথায় Relational Database এর ব্রেকআপের গুতায় Server এর সাথে Database এর প্রেম জমে Architecture ডায়াগ্রাম হিংসায় কেঁদে মরে Comment, Convention খায়না ভাত Error দেখলেই মাথায় হাত ফকিরা Resumeতে ডিম পাড়ে না হাঁস না বুঝে এপ্লাই করলে আইক্কাওয়ালা বাঁশ গুগল, এমাজনে চাকরি পাওয়ার কায়দা চাকরির প্রথম প্রথম লাইফ হবে ময়দা লেগে থাকলে খেতে পাবে ফালুদা
বইটি সম্পর্কে ড. রাগিব হাসান যা বললেন- অনুজপ্রতিম ঝংকার মাহবুবের সাথে আমার পরিচয় বছর কয়েক আগে, শিক্ষক.কমে একটি কোর্স পড়ানোর সময়। অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, ওর এই কোর্সটা তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে সবার কাছে। কিন্তু কেন? ছাত্র হয়ে আমিও ঢুকে গেলাম ওর কোর্সে আর অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, যেকোনো কঠিন খটোমটো টেকনিক্যাল বিষয়কেও কতটা মজাদার করে পড়ানো সম্ভব!
ঝংকারের এবারের প্রজেক্ট হলো প্রোগ্রামিংকে সহজ-সরল ভাষায় বোঝানো আর সে এ বিষয়টা নিয়ে লিখছে, তাতে কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও শিক্ষক হিসেবে আমি যারপরনাই আনন্দিত... প্রোগ্রামিংয়ের মতো দরকারি জিনিস আমরা যখন পড়েছিলাম, তখন অনেক সময় ভেবেছি আরেকটু যদি ইন্টারেস্টিং করে লেখা একটা বই পেতাম, কত মজাই না হতো প্রোগ্রামিং শেখার সেই সময়টা! ঝংকারের প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী বইটা পড়তে গিয়ে আমি সেই আনন্দটা পেয়েছি— গল্পের মাধ্যমে এমনভাবে বইটা লেখা, পড়ে মনে হয় চোখ বুজলেই যেন দেখতে পাব, পাঠকের সামনে দাঁড়িয়ে ঝংকার গভীর মমতায় শেখাচ্ছে প্রোগ্রামিং। ঝংকারের এ বইটি পড়তে গিয়ে পুরোটা সময় সেই প্রথম প্রোগ্রামিং শেখার সময়টার মতো আনন্দ পেয়েছি, টানটান উত্তেজনা, হাসি আর মজার মাঝে ঝংকার যেভাবে প্রোগ্রামিং শিখিয়ে দিচ্ছে এ বইয়ে, হয়তোবা বাংলায় সেভাবে আগে কেউ লেখেনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই বইটা বাংলাদেশের কিশোর, তরুণ বয়সীর কাছে প্রোগ্রামিংকে খটোমটো যান্ত্রিক কিছু নয়; বরং আনন্দময় মজাদার একটা কাজ হিসেবে তুলে ধরবে আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবে প্রোগ্রামিংয়ের বর্ণিল জগৎ। ড. রাগিব হাসান কম্পিউটারবিজ্ঞানী সহযোগী অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবামা অ্যাট বার্মিংহাম প্রতিষ্ঠাতা: শিক্ষক ডটকম
পাঠকসমাজে তাঁর পরিচিতি এখন গৎবাঁধা লেখার বাইরে নতুনত্বের আমেজ এনে দেওয়া তরুণ লেখক হিসেবে। তিনি ঝংকার মাহবুব, পেশায় একজন ওয়েব ডেভেলপার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক পাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ঝংকার মাহবুব। বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের মধ্য থেকে ঝংকার মাহবুব এর বই আলাদা করা যায় খুব সহজেই। তাঁর লেখার বিষয়গুলোও ব্যতিক্রমধর্মী। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে কীভাবে এ দেশের তরুণদের মাঝে সহজবোধ্য করা যায়– তা নিয়েই ঝংকার মাহবুব এর বই সমূহ। তাঁর লেখা বইগুলোতে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাঠখোট্টা জিনিসকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝংকার মাহবুবের বই সমগ্র এখন এ দেশের তরুণ প্রোগ্রামারদের কাছে প্রোগ্রামিং শেখার মজার বন্ধু হয়ে উঠছে এবং এই বইগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু বই হলো রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং, প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস, প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী, প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল ইত্যাদি। প্রোগ্রামিং শেখানো সহজ করা বইগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলেও ঝংকার মাহবুব তাঁর লেখার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন তরুণ প্রোগ্রামারদেরকে। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন।