মূল্য ৭৫০ টাকা প্রি অর্ডার মূল্য ৬০০ টাকা সাথে বইয়ের প্রচ্ছদযুক্ত একটি আকর্ষণীয় টি-শার্ট একদম ফ্রি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে ধারবাহিকভাবে প্রকাশিত আলোচিত উপন্যাস অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান এর পরিমার্জিত ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ।
নিছক ইতিহাস, চরিত্র চিত্রণ কিংবা কাল গণণা নয়, ঝরঝরে বর্ণণায় ভাস্বর একেকটি মুহূর্ত। টিভি সিরিয়াল কিংবা একক কোনো বইয়ের অণুকরনে নয়, ইতিহাসের আশ্রয়ে নিরেট গদ্যের ফুলঝুড়ি। সুলতান সুলেমান নিয়ে অন্য সব বইয়ের চেয়ে একেবারে আলাদা কিছু।
উপন্যাসের ভেতর থেকে ‘....মাহিদেভরানের শরীরে এখন এতটুকু সুতো পর্যন্ত নেই! সম্পূর্ণ বিবস্ত্র। নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন আয়নায়। দুই বুকের মাংসপিন্ডে হাত রেখে অনুভবের চেষ্টা করলেন নিজের মোহনীয় ক্ষমতা। আবেশে চোখ দুটি মুদে এলো যেন। ঘুরে ঘুরে নিজেকে পরখ করতে লাগলেন। মনের ভেতর প্রশ্ন পোকা কিড়মিড় করছে। তবে কি যৌবনে ভাটা পড়ল? নাকি মুস্তফার জন্মের পর তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন সুলেমান। নইলে এমন কেন হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলে না কিছুতেই....’
‘....দেখুন...আমার গণনা আর অটোমান সাম্রাজ্যের বর্তমান অবস্থা সাক্ষ্য দিচ্ছে আপনি হতে যাচ্ছেন অটোমান সাম্রাজ্যের দশম সুলতান। আর এই ‘দশ’ সংখ্যার সব আশীর্বাদ আপনার সঙ্গে থাকবে। মানুষের হাত পায়ের দশ আঙ্গুল-দশ অনুভূতি, কোরআনের দশ অংশ, পেন্টাটিউকের দশ আজ্ঞা, নবীর দশ শিষ্য, ইসলামীয় স্বর্গের দশ আকাশ এবং পথপ্রদর্শক দশ আজ্ঞা। আপনার সৌভাগ্য, মেধা, বীরত্ব আর ন্যায়বিচার আপনাকে করে তুলবে অন্য সবার চেয়ে আলাদা, অনন্য।....’
‘...তোমার কিছু বলার থাকলে আমাকে নির্ভয়ে বলতে পারো। দেখো আমি সুলতান সুলেমান খান তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমার কোনো ক্ষতি হবে না। তুমি আমাকে নির্দ্বিধায় সব বলতে পারো।’ ‘আমাকে আপনার আশ্রয়ে রাখুন সুলেমান।’ বলেই সুলেমানের দুই পা জড়িয়ে ধরলো মেয়েটি। ঘটনার আকষ্মিকতায় হতভম্ব সুলেমান। মেয়েটি এমন কান্ড করে বসবে কিছুতেই ভাবেননি তিনি। এখন কী করা উচিত সেটাও বুঝতে পারছেন না। মেয়েটিকে টেনে নিচ থেকে আবারো বিছানার উপর বসালেন। মেয়েটির দু চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বললেন, ‘কিন্তু তুমি এভাবে কান্না করলে কিভাবে হবে?....’
পরিচিতি রণক ইকরাম: কাগুজে নাম মোহাম্মদ ইকরাম-উল-করিম হলেও লেখালেখি করেন রণক ইকরাম নামে। জন্ম কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শংকুচাইল গ্রামে। বাবা রেজাউল করিম এবং মা মনোয়ারা বেগম। কুমিল্লাতেই মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকানো। তারও আগে লেখালেখির ভূত সওয়ার হয়। এরপর নটরডেম কলেজ আর ঢাকা ভার্সিটির গৌরবময় আঙিণা মাড়িয়ে এখন কর্মজীবনে। কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক পদে। সেখানে রকমারি, বিনোদন, ফ্রাইডে, শনিবারের সকাল ও ডাংগুলি পাতার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করছেন। লিখতে ভালোবাসেন বিচিত্র সব বিষয়ে। মূলত ইতিহাস, রহস্য, রোমাঞ্চ লিখতে বেশি ভালোবাসেন। তবে সবকিছুতেই সমান আগ্রহ। দ্বিধাহীন চিত্তে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লিখে যেতে চান।