পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের জন্য ছড়া-কবিতা লিখে সুখ্যাত। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে ডি-লিট উপাধি। শুধু ছড়া-কবিতা নয়, ছোটোদের কথা ভেবে লেখেন গল্প_ উপন্যাসও। শিশুসাহিত্যের অনুসন্ধিৎসু গবেষক, প্রাবন্ধিক। ঐতিহ্যবাহী বহু সাময়িকপত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রণয়ন ও রচনা সংকলন সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য, মানসী ও মর্মবাণী, নারায়ণ, উত্তরা, বঙ্গবাণী, বঙ্গশ্রী, শিশুসাথী, রংমশাল ও পাঠশালা পত্রে প্রকাশিত রচনাসম্ভার তাঁর সম্পাদনায় পৃথক পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। ঠাকুরবাড়ি নিয়েও অদম্য কৌতূহল, গভীর অনুসন্ধিৎসা। বিশ্ববিদ্যালয়স্তরে গবেষণা করেছেন অবনীন্দ্রনাথের উপর। পেয়েছেন ডক্টরেট। অবনীন্দ্রনাথের অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি ‘স্বপ্নের মোড়ক’ তাঁরই আবিষ্কার। উপযু্ক্ত সম্পাদনায় এই অমুল্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। অবনীন্দ্রনাথের চেনা-অচেনা রচনাসংকলন করেছেন ‘সাতরং’ গ্রন্থে। ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় একদা প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা ভাষার প্রথম পূজাবার্ষিকী পার্বণী। দুষ্প্রাপ্য পার্বণী তিনিই পুনরুদ্ধার করেছেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ঠাকুরবাড়ির ভারতী পত্রিকার সুগভীর অবদান। তাঁরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ‘ভারতী গল্পসম্ভার’। কবিকণ্ঠের ইতিহাসও প্রণয়ন করেছেন। ইতিহাস রচনা ও প্রণয়নের পাশাপাশি রবীন্দ্রকণ্ঠের আবৃত্তি-গানের ক্যাসেট ও সিডি প্রকাশিত হয়েছে তাঁরই পরিকল্পনায়, উদ্যোগে। তাঁর নবতম প্রয়াস এই বালক। ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত বালক পত্রিকার সব ক-টি সংখ্যার সমস্ত রচনা একখণ্ডে প্রকাশিত হল পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযোগ্য সম্পাদনায়।