"পদ্মরাগের অভিজান" বই এর ফ্লাপের লেখা তিনজন ছোটো ছেলেমেয়েকে নিয়ে এই বই। তিনজনেই তিনটে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। বিদেশিদের যুদ্ধ। ওরা কি পারবে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে? ভারতবর্ষের একটাই মুশকিল। মাঝে মাঝেই অনেক দূরের দেশ থেকে কারা যেন এসে আমাদের দেশটাকে দখল করে বসেছে। তাদের চেহারাও কেমন যেন অদ্ভুত। তাদের চোখের মণির রঙও কখনও বিড়ালের মতো, কখনও-বা সিংহের মতো। আর কী ভাষায় যে ওরা কথা বলে, সেটা বোঝে কার সাধ্য। তারা শুধু লুঠপাট করত। আর কেউ কেউ দোকান চালাত। চাষি, কামার, কুমোর, পাঠশালার পণ্ডিতমশাই, দাদু আর নাতনি— এদের কী করে সুখেশান্তিতে রাখতে হয়, এ বিষয়ে তারা একফোঁটাও জানত না। জানার কোনো ইচ্ছেও ছিল না। বুদ্ধিও ছিল না। তবু ওরা নিজেদের রাজা-বাদশা ভাবত। এর মধ্যে আছে তিনটে উপন্যাস। প্রথমটিতে, বারো বছরের একটা ছেলে খুব কাছ থেকে দেখছে ইংরেজ রাজা-রানিকে। তারা থাকতেন ধর্মতলার রাজভবনে। নিজেদের বড়োলটি বলে ভাবতে ভালোবাসতেন। কিছুদিন পরেই ছেলেটা বুঝল রানির হাতে ও বন্দি। শেষ পর্যন্ত ও কি পালাতে পারবে রাজভবন থেকে ? পরের উপন্যাসে তেরো-চোদ্দো বছরের দুটি মেয়ে খুব কাছ থেকে দেখছে ফরাসি আর ইংরেজদের যুদ্ধ— যেটা হয়েছিল চন্দননগরে। একটি মেয়ে ফরাসি, আর একজন বাঙালি। কিন্তু এই ভয়ংকর যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে গিয়ে ওরা বাঁচল কী করে? শেষটি ঠাকুমা আর নাতনির গল্প । বাদশা জাহাঙ্গিরের অন্ধ ছেলের একটা মাটির কেল্লা ছিল মধুবনী বলে একটা গ্রামে। সেটার দেওয়ালে ছবি আঁকতেন ঠাকুমা। সঙ্গে থাকত বারো বছরের নাতনি। তো, নাতনির সঙ্গে বাদশার ছেলের বেজায় ভাব। এদিকে, এক ইংরেজ দোকানদার ওই গ্রামে চিনি তৈরির কারখানা খোলার মতলব এঁটেছে। সেই ব্যবসায়ী বাদশার ছেলেকে খুন করবে না তো? নাতনি কি পারবে অন্ধ রাজকুমারকে বাঁচাতে ?