নির্বাসিতের আত্মকথা উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় আত্মকথন। বিপ্পী, শিক্ষাব্রতী, সম্পাদক তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রনাথ উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট চরিত্র ।
মুরারীপুকুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে দ্বীপান্তরিত হতে হয়। ঠাঁই হয় আন্দামানের কুখ্যাত জেলে। নির্বাসিতের আত্মকথা কারাবাসের সেই অন্ধকার দিনগুলিরই এক মর্মস্পর্শী বিবরণ। প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই বই পাঠকমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন। উপেন্দ্রনাথের লেখার :
আশ্চর্য বই...। এরকম বই বাংলাতে কম পড়েছি।
এ বইয়ে আলাদা করে পাঠককে ছুঁয়ে গিয়েছিল উপেন্দ্রনাথের ভাষা—বিশেষত গুরুগম্ভীর বর্ণনার পাশাপাশি দিশি ভাষাতেও তাঁর অনায়াস স্বাচ্ছন্দ্য। মুজতবা আলীর কথায় :
শুধু যে সংস্কৃত ওজস্ এবং প্রসার সম্বন্ধে তিনি সচেতন তাই নয়, কলকাতা অঞ্চলের পুরো পাক্কা তেতো কড়া ভাষাতেও তাঁর তেমনি কায়েমি দখল।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে, অসাধারণ এই আত্মকথাটি এতদিন দুষ্প্রাপ্য ছিল। বর্তমান সংস্করণ পুনরুদ্ধার করেছে বাংলা সাহিত্যের এই ক্লাসিকটিকে। সংযোজিত হয়েছে নির্বাসিতের আত্মকথা প্রসঙ্গে সৈয়দ মুজতবা আলী এবং ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীর দুটি লেখা।