"যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম দ্বীনের জন্যই বেঁচে থাকতেন। এই দ্বীনের জন্যই তারা হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিতেন। তারা ঘুমোতে যেতেন এই দ্বীনের যিকির নিয়ে। ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়তেন এই দ্বীনের যিকিরেই। তাদের দিন-রাত, শয়ন-জাগরণ, চিন্তা-ফিকির সবকিছুই ছিল এই দ্বীনকেই কেন্দ্র করে।
দ্বীনের দাওয়াত ও কল্যাণের পথে আহবানের ক্ষেত্রে এতটা সাফল্য কীভাবে অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা? বরং বলা ভালো কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন আবু বকর? কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন উমর? কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন উসমান, আলী, তালহা ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন? আরেকটু আগ্রসর হয়ে এভাবে বলা যায়-কীভাবে সক্ষম হয়েছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দ্বীনকে বহন করতে? যে দ্বীন একজন মাত্র মানুষের মাধ্যমে শুরু হয়ে তা আজ শত কোটির সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। দোয়া করে আল্লাহ্ তায়ালা যেন মুসলমানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি করেন। আসুন খোঁজ নিয়ে দেখি তারা কীভাবে সফল হয়েছিলেন। কীভাবে আল্লাহ্ তায়ালা তাদের মাধ্যমে এই দ্বীনকে আজ এই পর্যায় ও অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। চলুন তাহলে…
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।